কেশবপুরে ছোট ভাইয়ের গাছ কেটে নেওয়ায় অভিযোগ

- আপডেট সময় : ২৭ বার পড়া হয়েছে
কেশবপুর উপজেলার ১নম্বর ত্রিমোহিনি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বড় ভাই এর বিরুদ্ধে জোর পূর্বক গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ তুলে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর মির্জাপুর গ্রামের শেখ আব্দুস সামাদের ছেলে শেখ আবুল কালাম তার ছোট শেখ আবু নাছেরের বাগান থেকে প্রায় ৭ টি আম গাছ ৫ টি মেহগ্রী গাছ জোর পূর্বক কেটে বিক্রি করে । যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ টাকা। অভিযোগে শেখ আবু নাছের বলেন , আমার মোট ০৫ ভাই এবং আমাদের মোট ০৮ বোন। উক্ত বিবাদী আমার ৪ নম্বর ভাই হয়। আমাদের পৈত্রিক জমিজমা এখনও পর্যন্ত ভাগবন্টন হয়নি। যার যার মত যে যেখানে আছে সে সেখানেই ভোগ দখল করে আসছে। সম্প্রতি বিবাদী আমাদের পৈত্রিক অংশের জমির উপর পিতার রোপনকৃত গাছ জোর পূর্বক কর্তন করে বিক্রি করছে। কিন্তু গাছ বিক্রির কোন টাকার ভাগ আজও পর্যন্ত আমাদের কোন ভাই বোনকে দেয় নাই। সর্বশেষ ইং ২২/১০/২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৮:০০ ঘটিকার সময় বিবাদী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন গাছ কাটা শ্রমিক সাথে নিয়ে আমাদের পৈত্রিক অংশের ৪৩৪, ৪৩৫, ৪৩৮ ও ৪৫৭ দাগের জমির উপর পিতার রোপনকৃত ৫/৭টি আম গাছ ও ৪/৫টি মেহগনি মূল্য অনুমান ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকার জোর পূর্বক কর্তন করে। ঐ সময় আমি এবং আমার অন্যান্য ভাই ও বোনেরা বিবাদীকে গাছ কর্তন করতে বাধা প্রদান এবং আমাদের প্রাপ্ত অংশের জমিজমা ও গাছগাছালির সমান ভাগ চাই। তখন বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের প্রাপ্ত অংশের জমিজমা ও গাছের ভাগ দিতে অস্বীকার করে এবং আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এসময় উল্লেখিত লোক গুলো উপস্থিত ছিলেন ১) তাহাজ্জত হোসেন (৫৯), পিতা- মৃত আফছার আলী মোল্যা, গ্রাম- নাভারন, থানা- শার্শা, ২) শাহানাজ পারভীন (৫৪) ৩) জোসনা খাতুন (৬৩), উভয় পিতা-মৃত শেখ আব্দুস সামাদ, মাতা- মৃত আয়শা খাতুন, গ্রাম- মির্জানগর, ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন, থানা- কেশবপুর, সর্ব জেলা- যশোর গন সহ আরো অনেকে উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে জানে, শোনে ও দেখে। পারিবারিকভাবে এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে বিবাদীর সাথে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বাধ্য হই। সরজমিনে যেয়ে দেখা গেছে বড় দুটি আম গাছ বিবাদী কেটেছে। কিন্তু থানায় অভিযোগ করার কারণে গাছ কাটা বন্ধ রেখেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় শেখ আবুল কালামের বিরুদ্দে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।