ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভেটেরিনারি সেলসম্যানের মৃত্যু  Logo টেকসই পোশাক খাত গড়তে ১৪ দফা ইশতেহার ফোরামের Logo মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান Logo আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ Logo রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ  ৫ ডাকাত  সদস্য গ্রেফতার Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন Logo টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি Logo ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী খামারিদের মাঝে ছাগল , মুরগি সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ  Logo নালিতাবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মদ সহ নাছিরকে গ্রেফতার Logo ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গণধোলাই দিল ছাত্রজনতা

কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

যশোরের কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে মটর ও স্যালো মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভূগর্ভের পাশাপাশি অনেকে নদ-নদী থেকে সেচ দিয়ে ঘেরে পানি নিচ্ছেন মাছের ঘের মালিকরা। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে এবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তবে মৎস্য অফিস কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবদহ এলাকায় মৎস্য ঘের স্থাপন নীতিমালা অনুসরণ না করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি ছোট-বড় ঘের রয়েছে। গত বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচেপড়া পানিতে কেশবপুরে বন্যা দেখা দেয়। ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ঘের মালিকরা ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ নেবে। সরেজমিন উপজেলার পাজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, মঙ্গলকোট, বিদ্যানন্দকাটি ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ঘের মালিকা আগেভাগেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ঘের ভরে নিচ্ছেন। এভাবে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় পানি উত্তোলন করা হলে গতবারের মতো এবারও মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠবে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে ঘের উপচে পানি মানুষের বাড়িঘরে ওঠে।

প্লাবিত হয় ১০৪টি গ্রাম। মাছের ঘেরসহ ফসলে প্রায় ১২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলা উদ্দিন আলা বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমি অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচেপড়া পানিতে তার ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম। এবার আগেভাগেই ঘের মালিকদের বলা হয়েছে, মাছের ঘের স্থাপন নীতিমালা অনুসরণ করে ঘের করার জন্য। ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, কেশবপুরে অপরিকল্পিতভাবে ঘের তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে এলাকা জলবদ্ধতা হয়ে পড়ে। ঘের মালিকরা ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করলে গত বছরের মতো এবারও এলাকায় বন্যা দেখা দেবে। গত বছর এলাকায় প্রায় ৬ মাস জলাবদ্ধতা স্থায়ী ছিল। ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, পানি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সূদীপ বিশ্বাস বলেন, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি ছোট-বড় মাছের ঘের রয়েছে। এছাড়া পুকুর রয়েছে ৬ হাজার ৬৪০টি। ঘের মালিকদের ভবদহ এলাকায় ঘের স্থাপন নীতিমালা অনুসরণ করে ঘের স্থাপন করতে বলা হয়েছে। ঘের মালিকরা সর্বোচ্চ দেড় ফুট পানি ঘেরের মধ্যে উত্তোলন করতে পারবে। এর থেকে অতিরিক্ত পানি কেউ উত্তোলন করলে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, ভূগর্ভ থেকে মাছের ঘের মালিকরা ঘেরে পানি উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোট বসিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন ঘেরে নীতিমালা প্রয়োগ সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা চলমান রেখেছেন। কেশবপুরে জলবদ্ধতার অভিশাপ থেকে উপজেলা বাসীকে মুক্ত করার জন্য তিনি কাজ করে চলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন

আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

যশোরের কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে মটর ও স্যালো মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভূগর্ভের পাশাপাশি অনেকে নদ-নদী থেকে সেচ দিয়ে ঘেরে পানি নিচ্ছেন মাছের ঘের মালিকরা। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে এবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তবে মৎস্য অফিস কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবদহ এলাকায় মৎস্য ঘের স্থাপন নীতিমালা অনুসরণ না করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি ছোট-বড় ঘের রয়েছে। গত বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচেপড়া পানিতে কেশবপুরে বন্যা দেখা দেয়। ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ঘের মালিকরা ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ নেবে। সরেজমিন উপজেলার পাজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, মঙ্গলকোট, বিদ্যানন্দকাটি ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ঘের মালিকা আগেভাগেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ঘের ভরে নিচ্ছেন। এভাবে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় পানি উত্তোলন করা হলে গতবারের মতো এবারও মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠবে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে ঘের উপচে পানি মানুষের বাড়িঘরে ওঠে।

প্লাবিত হয় ১০৪টি গ্রাম। মাছের ঘেরসহ ফসলে প্রায় ১২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলা উদ্দিন আলা বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমি অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচেপড়া পানিতে তার ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম। এবার আগেভাগেই ঘের মালিকদের বলা হয়েছে, মাছের ঘের স্থাপন নীতিমালা অনুসরণ করে ঘের করার জন্য। ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, কেশবপুরে অপরিকল্পিতভাবে ঘের তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে এলাকা জলবদ্ধতা হয়ে পড়ে। ঘের মালিকরা ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করলে গত বছরের মতো এবারও এলাকায় বন্যা দেখা দেবে। গত বছর এলাকায় প্রায় ৬ মাস জলাবদ্ধতা স্থায়ী ছিল। ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, পানি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সূদীপ বিশ্বাস বলেন, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি ছোট-বড় মাছের ঘের রয়েছে। এছাড়া পুকুর রয়েছে ৬ হাজার ৬৪০টি। ঘের মালিকদের ভবদহ এলাকায় ঘের স্থাপন নীতিমালা অনুসরণ করে ঘের স্থাপন করতে বলা হয়েছে। ঘের মালিকরা সর্বোচ্চ দেড় ফুট পানি ঘেরের মধ্যে উত্তোলন করতে পারবে। এর থেকে অতিরিক্ত পানি কেউ উত্তোলন করলে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, ভূগর্ভ থেকে মাছের ঘের মালিকরা ঘেরে পানি উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোট বসিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন ঘেরে নীতিমালা প্রয়োগ সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা চলমান রেখেছেন। কেশবপুরে জলবদ্ধতার অভিশাপ থেকে উপজেলা বাসীকে মুক্ত করার জন্য তিনি কাজ করে চলেছেন।