কেশবপুরের মিথ্যা উকিল নোটিশ দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ৪৫ বার পড়া হয়েছে
যশোরের কেশবপুরের সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা উকিল নোটিশ দেওয়ার কারণে সংবাদ সম্মেলন করেন। আজ শনিবার উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের তাছির উদ্দিনের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম কেশবপুর নিউজ ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সাংবাদ সম্মেলনে সাইফুল উল্লেখ করেন উল্লেখিত ব্যক্তিগন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং উকিল নোটিশ প্রদান করে আমাকে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করছে কিন্তু তাদের এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত বানোয়াট। সাইফুল ইসলাম বলেন হাফিজুর রহমান, পিতা আব্দুল মজিদ হালদার নুতন গ্রাম, কেশবপুর যশোর ২। মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পিতা সাহেব আলী, গ্রাম নতুন মূলগ্রাম, পোস্ট নতুন মূলগ্রাম, কেশবপুর যশোের ৩। মোঃ মাহবুবুর রহমান, পিতা মোঃ ইবাদ আলী সরদার, গ্রাম জাহানপুর, পোস্ট নতুন মূলগ্রাম, কেশবপুর যশোর। তাদের এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ বানোয়াট আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমিও তাদের মত একজন বিদেশ যাওয়ার প্রার্থী মাত্র। আমাকে ব্যবহার করে বিদেশ যাওয়ার সহযোগিতা নিয়ে উক্ত ব্যক্তি গন আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমার যশোর আশ্রম রোডে ভাড়াটিয়া বাসায় এসে ওরা এবং সাথে আরও অন্য লোক নিয়ে এসে হুমকি দিয়েছে ও পরে আমার স্ত্রীর অফিস শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক যশোর গিয়ে হুমকি প্রদান করছে যার কারনে আমার স্ত্রী গত ০৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে আমার স্ত্রী তার নিজের এবং সন্তানের জীবন রক্ষার্থে ও নিরাপত্তার খাতিরে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাইফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান আমি ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার খালু মোঃ আদম শেখ এর মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে থাকি এবং আমার কাগজপত্র দেখে আমার বন্ধু মাহবুব রহমান উৎসাহিত হয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার খালুকে প্রস্তাব দেয়। তার অর্থ সংকট থাকায় সে তার বিয়াই হাফিজুর রহমান ও প্রতিবেশী ছোট ভাই সিরাজুলকে সঙ্গে নেয়।মাহাবুরের টাকা না থাকায় হাফিজুর রহমান ও সিরাজুল এর অর্থ দিয়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে এবং নিজে এবং ওই দুজন ব্যক্তির কাগজ জমা দান করে। আমরা সকলে মিলে প্রথমে মোঃ কামাল হোসেন ও পরে আবু তালেব ও তার স্ত্রীকে টাকা প্রদান করি। আমাদের যোগাযোগকারী মোঃ আবু তালেব ও তার স্ত্রী কমেলা বেগমের সাথে স্ট্যাম্প ও চেক এর মাধ্যমে চুক্তি বদ্ধ হয়। কিন্তু মাহবুবুর রহমান মূল চুক্তিবদ্ধ কারীদের সাথে কথা বলে মোট চুক্তি টাকার অংকের কথা ওই দুইজন ব্যক্তিকে জানাতে নিষেধ করে। এবং ওই দুজন ব্যক্তিকে জানতে দেয় না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মাহাবুবুর রহমান বলে উক্ত দুজন ব্যক্তি আমার কাছ থেকে স্ট্যাম ও চেক দেয়ার প্রস্তাব করে । আমি রাজি না থাকাই পরে সে নিজেকে আমার সঙ্গে স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ থাকার প্রস্তাব করে ১০০ টাকার মূল্যের তিনটা স্টাম ক্রয় করে যাহার নাম্বার (গগ ৫১৪৬১২৯-৩১) এবং কৌশলে আমার কাছ থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের (Ac no 24117068901 cheak no 5199576) চেকে সই করা ব্ল্যাংক চেক নিয়ে নেয়। তারা দালালদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা প্রদান না করায় আমাদের পাসপোর্ট এম্বাসিতে জমাদানের পরেও আমাদের বিদেশ যাওয়া অনিশ্চিত হয়েছে। এখন আমার সেই ব্যাংক চেক এ নিজ ইচ্ছামত ৪৫ লক্ষ টাকা বসিয়ে মোঃ হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। এবং তারা তিনজন মিলে আমাকে হুমকি প্রদান করছে কেস দিবে বলে। আমি এবং তারা আজ পর্যন্ত যত টাকা প্রদান করেছি সব দালালদের একাউন্টে। আমার কাছে ডকুমেন্টস এর সকল তথ্য আছে। তারা ব্যক্তিগতভাবে কেউ আমাকে একটি টাকাও প্রদান করেনি বা আমি তাদের সাথে কোন লেনদেন করি নাই। আমি নিজে একজন প্রার্থী হিসেবে আমিও তাদের মত যোগাযোগ কারীর একাউন্টে টাকা প্রদান করেছি।তাদের এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ বানোয়াট আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমিও তাদের মত একজন বিদেশ যাওয়ার প্রার্থী মাত্র।
আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক।
প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ আপনাদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


















