ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

কোম্পানীর বিষাক্ত শিল্পবর্জ্যের কালো পানির দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর এলাকায় প্রাণ-আরএফএল কোম্পানীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত কালো পানিতে পরিবেশ দূষণ করে চলছে। জরিমানা, নিষেধাজ্ঞার পরও থামছে না পরিবেশ দূষণকারী কার্যকলাপ। মুরগী থেকে ডিম উৎপাদন, বিষ্ঠা থেকে সার উপৎপাদনসহ ফার্মের দূষিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য কোন প্রকার পরিশোধন না করেই ফেলা হচ্ছে পাশের ধলাজাই খালে। আর খালের পানি ভূঁইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে যাচ্ছে। ফলে পানি সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে, মারা যাচ্ছে খালের মাছ, দূর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। বর্জ্য যুক্ত বিষাক্ত পানি বাতাসে মিশে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

ক্রমাগত দূষণের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। এ ছাড়াও গন্ধ বাইরে বের করে দিতে কারখানার দেয়ালে লাগানো হয়েছে বড় আকারের অনেকগুলো এক্সহস্ট ফ্যান। কারখানার জেনারেটরের বিকট শব্দ তো রয়েছেই। জানা যায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ওসমানপুরে বিশাল পাহাড়ি জমি ক্রয় করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়। সাইনবোর্ড বিহীন এ কারখানার নাম স্থানীয়দের কাছে অজানা। এখানে মুরগী থেকে ডিম উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি মুরগীর বিষ্ঠা থেকে উপৎপাদন হচ্ছে সার। কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার খাল-বিল, নদী-নালার পানি, মাছ ও কৃষি জমি। ভয়াবহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুল শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী। মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানির দ্বারা আশেপাশের গ্রামের পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ওই কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি প্রথমে ধলাজাই খালে প্রবেশ করে। পরে ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে কালো পানি প্রবেশ করছে। এমনকি কৃষকদের ধান্য জমিতেও এ পানি প্রবেশ করছে। এ সময় আলাপকালে ধলাজাই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, আব্দুল হামিদ, রহিমা খাতুন, জায়েদা খাতুনরা বলেন- কারখানা করার পূর্বে ওই পাহাড়ি জমিতে নানা ধরণের ফসল চাষ হত। এখন ডিম ও সার উৎপাদন হচ্ছে। এসব কীভাবে উৎপাদন করছে, তা আমাদের অজানা। তবে কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি বেরুচ্ছে। এ পানি ধলাজাই খাল, বিল থেকে আমাদের জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে প্রবেশ করছে বিষাক্ত পানি। কোম্পানির বিষাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য তৈরি করে। কৃষকরা এসব বর্জ্যের পানি থাকায় কৃষি জমিতে কাজ করতে পারছেননা। কৃষক অব্দুষ শহীদ বলেন বলেন, আমরা কৃষির উপর নির্ভর। কৃষি কাজে খালের পানি ব্যবহার করা হত। বর্তমানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারখানার কালো পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে স্থানীয়রা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ভিতরের দুর্গন্ধযুক্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পৌছে। দুর্গন্ধ থেকে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

যদি সেটি বন্ধ করা না হয় তাহলে তিনি আর কৃষি জমি করবেননা। কারখানার মালিক পক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও একশ্রেণির লোক ম্যানেজ করে রেকেছে। এলাকার নিরীহ লোকেরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, প্রায় ১০ বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষে প্রায় চার বছর ধরে কারখানায় উৎপাদন চলছে। যত দিন যাচ্ছে কারখানা থেকে কালো পানি অধিকহারে বেরুচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্গন্ধ। শুধু তাই নয়, মশা ও মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা নাভিশ্বাস নিয়ে বসবাস করছেন। খাল থেকে কালো পানি জমিতে প্রবেশ করায় কাজ করতে গিয়ে কৃষকরা বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বলেন, কালো পানির দুর্গন্ধের পাশাপাশি এর বাতাস লাগলেই শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না। স্থানীয়রা দ্রুত এর প্রতিকার চেয়েছেন। কারখানার এডমিন সহকারী ম্যানেজার নাসির আহমেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে মুরগি থেকে ডিম ও মুরগীর বিষ্ঠা থেকে জৈব সার উৎপাদন হয়।

এখানে ২০০/৩০০ লোক কাজ করেন তারা দুর্গন্ধের টেরপাননা। কালো পানির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। এরআগে বিগত গত ২০২৩ সালে ওই কোম্পানিকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদফতর। জরিমার পর কিছুদিন বন্ধ করলেও সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে পরিবেশ দূষণ করে চলছে। জরিমানা, নিষেধাজ্ঞার পরও থামছে না পরিবেশ দূষণকারী কার্যকলাপ। পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জরিমানা করে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে এরপরও নিয়ম ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রনি মিয়া বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লোকজনের বসবাসের আশপাশে কলকারখানা হয় না। নিয়মানুযায়ী বিষাক্ত বর্জ্য একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে নির্গত করতে হয়। কিন্তু অনেক শিল্প কারখানা সেই নিয়ম অনুসরণ না করে বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যাল সরাসরি জলাভূমিতে ছেড়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কোম্পানীর বিষাক্ত শিল্পবর্জ্যের কালো পানির দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ১২:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর এলাকায় প্রাণ-আরএফএল কোম্পানীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত কালো পানিতে পরিবেশ দূষণ করে চলছে। জরিমানা, নিষেধাজ্ঞার পরও থামছে না পরিবেশ দূষণকারী কার্যকলাপ। মুরগী থেকে ডিম উৎপাদন, বিষ্ঠা থেকে সার উপৎপাদনসহ ফার্মের দূষিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য কোন প্রকার পরিশোধন না করেই ফেলা হচ্ছে পাশের ধলাজাই খালে। আর খালের পানি ভূঁইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে যাচ্ছে। ফলে পানি সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে, মারা যাচ্ছে খালের মাছ, দূর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। বর্জ্য যুক্ত বিষাক্ত পানি বাতাসে মিশে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

ক্রমাগত দূষণের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। এ ছাড়াও গন্ধ বাইরে বের করে দিতে কারখানার দেয়ালে লাগানো হয়েছে বড় আকারের অনেকগুলো এক্সহস্ট ফ্যান। কারখানার জেনারেটরের বিকট শব্দ তো রয়েছেই। জানা যায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ওসমানপুরে বিশাল পাহাড়ি জমি ক্রয় করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়। সাইনবোর্ড বিহীন এ কারখানার নাম স্থানীয়দের কাছে অজানা। এখানে মুরগী থেকে ডিম উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি মুরগীর বিষ্ঠা থেকে উপৎপাদন হচ্ছে সার। কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার খাল-বিল, নদী-নালার পানি, মাছ ও কৃষি জমি। ভয়াবহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুল শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী। মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানির দ্বারা আশেপাশের গ্রামের পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ওই কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি প্রথমে ধলাজাই খালে প্রবেশ করে। পরে ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে কালো পানি প্রবেশ করছে। এমনকি কৃষকদের ধান্য জমিতেও এ পানি প্রবেশ করছে। এ সময় আলাপকালে ধলাজাই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, আব্দুল হামিদ, রহিমা খাতুন, জায়েদা খাতুনরা বলেন- কারখানা করার পূর্বে ওই পাহাড়ি জমিতে নানা ধরণের ফসল চাষ হত। এখন ডিম ও সার উৎপাদন হচ্ছে। এসব কীভাবে উৎপাদন করছে, তা আমাদের অজানা। তবে কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি বেরুচ্ছে। এ পানি ধলাজাই খাল, বিল থেকে আমাদের জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে প্রবেশ করছে বিষাক্ত পানি। কোম্পানির বিষাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য তৈরি করে। কৃষকরা এসব বর্জ্যের পানি থাকায় কৃষি জমিতে কাজ করতে পারছেননা। কৃষক অব্দুষ শহীদ বলেন বলেন, আমরা কৃষির উপর নির্ভর। কৃষি কাজে খালের পানি ব্যবহার করা হত। বর্তমানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারখানার কালো পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে স্থানীয়রা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ভিতরের দুর্গন্ধযুক্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পৌছে। দুর্গন্ধ থেকে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

যদি সেটি বন্ধ করা না হয় তাহলে তিনি আর কৃষি জমি করবেননা। কারখানার মালিক পক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও একশ্রেণির লোক ম্যানেজ করে রেকেছে। এলাকার নিরীহ লোকেরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, প্রায় ১০ বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষে প্রায় চার বছর ধরে কারখানায় উৎপাদন চলছে। যত দিন যাচ্ছে কারখানা থেকে কালো পানি অধিকহারে বেরুচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্গন্ধ। শুধু তাই নয়, মশা ও মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা নাভিশ্বাস নিয়ে বসবাস করছেন। খাল থেকে কালো পানি জমিতে প্রবেশ করায় কাজ করতে গিয়ে কৃষকরা বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বলেন, কালো পানির দুর্গন্ধের পাশাপাশি এর বাতাস লাগলেই শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না। স্থানীয়রা দ্রুত এর প্রতিকার চেয়েছেন। কারখানার এডমিন সহকারী ম্যানেজার নাসির আহমেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে মুরগি থেকে ডিম ও মুরগীর বিষ্ঠা থেকে জৈব সার উৎপাদন হয়।

এখানে ২০০/৩০০ লোক কাজ করেন তারা দুর্গন্ধের টেরপাননা। কালো পানির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। এরআগে বিগত গত ২০২৩ সালে ওই কোম্পানিকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদফতর। জরিমার পর কিছুদিন বন্ধ করলেও সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে পরিবেশ দূষণ করে চলছে। জরিমানা, নিষেধাজ্ঞার পরও থামছে না পরিবেশ দূষণকারী কার্যকলাপ। পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জরিমানা করে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে এরপরও নিয়ম ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রনি মিয়া বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লোকজনের বসবাসের আশপাশে কলকারখানা হয় না। নিয়মানুযায়ী বিষাক্ত বর্জ্য একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে নির্গত করতে হয়। কিন্তু অনেক শিল্প কারখানা সেই নিয়ম অনুসরণ না করে বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যাল সরাসরি জলাভূমিতে ছেড়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।