ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

তীব্র ভাঙন আতঙ্কে দশআনী নদীর পাড়ের মানুষ

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের ইসলামপুরে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে দশআনী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কারণে প্রায় শত একর ফসলি জমি ও অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দনপুর, কান্দারচর, সাজেলেরচর, হরিণধরা, প্রয়াস্তী, আকন্দপাড়া, টাবুরচর ও ৪নং চর গ্রামের বহু পরিবার ইতোমধ্যেই নিঃস্ব হয়েছে। ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার জীবিকা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ভাঙনের কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হরিণধরা ও প্রয়াস্থী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, চিন্তায় আছি কখন যে ভিটেবাড়ি নদীতে ভেঙে যায়। বেকার বসে আছি, পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। সঠিকভাবে খনন ও সংস্কার করা হলে দশআনী নদী আবারও ফিরে পেতে পারে তার আগের রূপ। তখন কৃষি ও মৎস্য চাষে প্রাণ ফিরবে, নদীকেন্দ্রিক জীবিকা সচল হবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য জামাল হোসেন বলেন, নদীভাঙন দিন দিন বাড়ছে। কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে আমরা জানাবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে, ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তীব্র ভাঙন আতঙ্কে দশআনী নদীর পাড়ের মানুষ

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি

আপডেট সময় :

জামালপুরের ইসলামপুরে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে দশআনী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কারণে প্রায় শত একর ফসলি জমি ও অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দনপুর, কান্দারচর, সাজেলেরচর, হরিণধরা, প্রয়াস্তী, আকন্দপাড়া, টাবুরচর ও ৪নং চর গ্রামের বহু পরিবার ইতোমধ্যেই নিঃস্ব হয়েছে। ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার জীবিকা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ভাঙনের কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হরিণধরা ও প্রয়াস্থী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, চিন্তায় আছি কখন যে ভিটেবাড়ি নদীতে ভেঙে যায়। বেকার বসে আছি, পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। সঠিকভাবে খনন ও সংস্কার করা হলে দশআনী নদী আবারও ফিরে পেতে পারে তার আগের রূপ। তখন কৃষি ও মৎস্য চাষে প্রাণ ফিরবে, নদীকেন্দ্রিক জীবিকা সচল হবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য জামাল হোসেন বলেন, নদীভাঙন দিন দিন বাড়ছে। কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে আমরা জানাবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে, ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।