খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা নিয়োগ ও আপগ্রেডেশনের অনিয়ম, নিয়োগ ও টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক সংগঠন মুক্ত দেশের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৯৯১ খ্রি. থেকে একাডেমিক কার্যক্রম দিয়ে শুরু হয়ে বর্তমানে ৮টি স্কুলের অধীনে ২৯টি ডিসিপ্লিন ও ১টি ইনস্টিটিউটে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থীসহ ১৪শত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি নিয়োজিত রয়েছে। এখানে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারি নিয়োগে অনিয়মের তথ্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলেও এর কোন সমাধান পরিলক্ষিত হয় নাই।
বিশেষ করে ২০০৯ সালে ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রকাশিত (এডহক) বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন পর্যায়ে ৬৭ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী এডহক এবং ৫৫ জন কর্মচারি মাস্টাররোলের নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা উপেক্ষা করে তদকালীন সংস্থাপন ০২ এর শাখা প্রধান মোঃ আলী আকবার ও বর্তমান পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এর যোগসাজসে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদ বিহীন পদে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ এবং বিভিন্ন ব্লক পদ থেকে ২য় শ্রেনীর পদে আপগ্রেডেশন দিয়ে সেই পদগুলোর নাম পরিবর্তন পূর্বক সেকশন অফিসার নামকরণ করে ১ম শ্রেনির পদমর্যদাসহ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পরবর্তীতে ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা/কর্মচারির দাখিলকৃত ভূয়া অভিজ্ঞতার (সনদ) অতীত চাকুরীকাল গননা করে (অতীত চাকুরীকাল শুধুমাত্র পেনশনের জন্য ব্যবহার যোগ্য, কোন ভাবেই আপগ্রেডেশনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না) সেই চাকুরীকাল দেখিয়ে আপগ্রেডেশন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ইতঃপূর্বে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও অর্থ মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপন/পত্রে অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম এবং কমিশনের অনুমোদন ব্যতিত পদ সৃজন বা বিলুপ্ত, পদের পরিবর্তন, উন্মোক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ, শূন্য পদের বিপরীতে আপগ্রেডেশন এবং স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা বহির্ভূত নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিলেও ২০২১ সালের পর ইউজিসি কর্তৃক পদের অনুমোদন ও ছাড়পত্র ছাড়াই (কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও আপগ্রেডেশনের জন্য গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির যোগসাজসে) ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন পদের নিয়োগ নীতিমালা প্রস্তুত করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অর্গানোগ্রামের সৃষ্ট পদের বিপরীতে আপগ্রেডেশন দেওয়া হয়েছে (যেমন- সিনিয়র নার্স, সিসটেম এনালিস্ট, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (পরিবহন), প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার অন্যতম)।
এছাড়া প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির আস্থাভাজন ও কাছের লোকের মধ্যে ২জন কর্মকর্তাকে ( ১ জন দন্ডপ্রাপ্ত ৪ বছর সাজাভোগকারীকে অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক হিসেবে এবং ১ জন পিএস হওয়ায় বিদ্যমান নীতিমালা ২১৮তম সিন্ডিকেটে পরিবর্তন করে ২১৯তম সিন্ডিকেটে পিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার পদে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ডি সি’র পিএস সঞ্জয় সাহার নেত্রীত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের নামে কনস্ট্রাকশন ও বৈদ্যুতিক কাজে ১০% থেকে ১২% ওভার এস্টিমেট করে আস্থাভাজন ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজসে এস্টিমেট কষ্ট তথ্য আদান প্রদান করে সকল কাজ ১০% এর সামান্য কিছু কম দরমূল্য দিয়ে বর্নিত ঠিকাদার যেমন হাসান এন্ড সন্স (যশোর), আমির এন্ড কোং, এমআরএম ইন্টারন্যাশনাল, সোনেক্স ইন্টাঃ, আরেফিন ইন্টাঃ, রাফি ইঞ্জিঃ, টার্বো ইঞ্জিঃ লিঃ, এক্সপ্রেস এলিভেটর এদের সাথে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী খুলনা ৩ আসনের পলাতক এম.পি এস এম কামাল হোসেনের ভগ্নিপতি এস এম মনিরুজ্জামান, অর্থ পরিচালক মজিবুর রহমান, উপ-প্রধান প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন ও সুভাশিষ পালসহ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে ৩%-৭% পর্যন্ত অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদের প্রত্যেকেই বাড়ি/গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছে।