গাইবান্ধায় দলীয় কোন্দলে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, কার্যালয় ভাঙচুর

- আপডেট সময় : ৪২ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলসহ উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১২ জন হয়েছে। গত রোববার অবধি সাদুল্লাপুর শহরে এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলছেন , জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিকের অপসারণ দাবিতে সাদুল্লাপুরে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপি নেতা শামসুল ও সালাম সমর্থিত নেতা-কর্মীরা লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে হামলা চালান।
ডা. সাদিকের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে সদ্য বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিতে কাউন্সিল ছাড়াই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করে পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টা অভিযোগ রয়েছে। হামলায় উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুল হাসান ও সদস্যসচিব আব্দুস সালাম মিয়া অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
হামলার বিষয়ে জানকে চাইলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আল পারভেজ বলেন, আচমকাই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ও পোস্টার ছিঁড়ে চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় অফিসের সামনে থাকা ৪-৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুল হাসান বলেন, ‘জেলা সভাপতি ডা. সাদিকের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে বিএনপির একাংশ। পরে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অফিস ও মোটরসাইকেল। মূলত আওয়ামীপন্থি ও জামায়াতের লোকজন নিয়ে এ হামলা করা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘জেলা সভাপতি ডা. সাদিকের অপসারণ দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। কিন্তু সাদিকপন্থিরা হামলা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের পক্ষের ৫-৭ জন আহত হয়েছেন।’
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ওই ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।