ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

"বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের প্রয়োগ নেই" 

গাইবান্ধার কামারজানী ও মালিবাড়ীতে অবৈধ বালুবাহী ভারি যানবাহন চলাচলে পথচারীদের ভোগান্তি 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গাইবান্ধা সদরের কামারজানীর গোঘাট ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে নদী ভাঙন তীব্র রুপ নিচ্ছে এবং অবৈধ বালু বাহী ভারি যানবাহন চলাচলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।
 এলাকাবাসীর বিক্ষোভ-মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির পরেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। সচেতন মহল মনে করছে, যে স্থান থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন হচ্ছে সেই জমিগুলো সরকার চাইলেই সংরক্ষিত এলাকা বা অবৈধ কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ করতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী মো: মিলন মিয়া ও মো: রানা মিয়া বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন ১০-১২টি বড় ব্লাকহেড দিয়ে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন। কুখ্যাত এই বালু ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডে একদিকে যেমন শতশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে অন্যদিকে নদী থেকে তোলা বালু ভারি যানবাহনে পরিবহনের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ীদের ভারি যানবাহনের তান্ডবে কামারজানী,মালিবাড়ীসহ প্রায় ছয়টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি প্রতিনিয়ত পোহাতে হয়। নদী সরকারের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সড়ক সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা দুই দিক থেকেই জনগণের জন্য ঝুঁকি বাড়ছে। অথচ সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে কুখ্যাত অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছে কিন্তু সরকার কোন পয়সা পাচ্ছে না।
সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করার দু এক মাসের মধ্যে অবৈধ বালু বাহী যানবহন চলাচলে গভীর খানাখন্দের সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।
তবে প্রশাসনের নিরবতায় কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারি মামলাসহ জনগণের পক্ষে মামলা হলেও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলছে তাদের নামে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

"বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের প্রয়োগ নেই" 

গাইবান্ধার কামারজানী ও মালিবাড়ীতে অবৈধ বালুবাহী ভারি যানবাহন চলাচলে পথচারীদের ভোগান্তি 

আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

গাইবান্ধা সদরের কামারজানীর গোঘাট ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে নদী ভাঙন তীব্র রুপ নিচ্ছে এবং অবৈধ বালু বাহী ভারি যানবাহন চলাচলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।
 এলাকাবাসীর বিক্ষোভ-মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির পরেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। সচেতন মহল মনে করছে, যে স্থান থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন হচ্ছে সেই জমিগুলো সরকার চাইলেই সংরক্ষিত এলাকা বা অবৈধ কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ করতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী মো: মিলন মিয়া ও মো: রানা মিয়া বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন ১০-১২টি বড় ব্লাকহেড দিয়ে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন। কুখ্যাত এই বালু ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডে একদিকে যেমন শতশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে অন্যদিকে নদী থেকে তোলা বালু ভারি যানবাহনে পরিবহনের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ীদের ভারি যানবাহনের তান্ডবে কামারজানী,মালিবাড়ীসহ প্রায় ছয়টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি প্রতিনিয়ত পোহাতে হয়। নদী সরকারের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সড়ক সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা দুই দিক থেকেই জনগণের জন্য ঝুঁকি বাড়ছে। অথচ সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে কুখ্যাত অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছে কিন্তু সরকার কোন পয়সা পাচ্ছে না।
সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করার দু এক মাসের মধ্যে অবৈধ বালু বাহী যানবহন চলাচলে গভীর খানাখন্দের সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।
তবে প্রশাসনের নিরবতায় কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারি মামলাসহ জনগণের পক্ষে মামলা হলেও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলছে তাদের নামে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা করছে।