ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা Logo বান্দরবানে শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের বাৎসরিক সমাপনী ও উপহার বিতরণ Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮৫৯ জন শহিদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ Logo বিদেশে পলাতক ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন গ্রেপ্তার

গুলিতে নিহতদের মৃত্যু সনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহতদের মৃত্যু সনদ পরিবর্তন করতে চিকিৎসকদের প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, গুলির ঘটনাগুলোকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে মৃত্যু সনদ দিতে বলা হয়েছিল।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘হেফাজতে নির্যাতন ও দায়বদ্ধতা: প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকার’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ডা. মোশতাক এসব কথা বলেন।

ঢামেকে এত লাশ ধারণের সক্ষমতাও ছিল না বলে উল্লেখ করেন ডা. মোশতাক। হেফাজতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশি মামলায় রিমান্ডের শিকার ব্যক্তিদের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

তথাপি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। বাকিরা শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে ট্রমার শিকার হয়ে বেঁচে থাকেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক একটি ঘটনা আমি শেয়ার করতে চাই। আজিমপুরে একজন ভদ্রলোক মারা গেছেন গানশট ইনজুরিতে (গুলিতে)। সেটা বলা হইছিল আমাদের, পুলিশের গুলিতে মারা গেছে, এটা ডেথ সার্টিফিকেটে (মৃত্যু সনদ) লেখা যাবে না। লিখতে হবে তিনি এক্সিডেন্টালি (দুর্ঘটনায় মৃত্যু) মারা গেছেন।

এমন নির্দেশনা কে দিয়েছিল, জানতে চাইলে মোশতাক আহমেদ বলেন, এটা হসপিটাল অথরিটি (কর্তৃপক্ষ)।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গুলিতে নিহতদের মৃত্যু সনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহতদের মৃত্যু সনদ পরিবর্তন করতে চিকিৎসকদের প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, গুলির ঘটনাগুলোকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে মৃত্যু সনদ দিতে বলা হয়েছিল।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘হেফাজতে নির্যাতন ও দায়বদ্ধতা: প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকার’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ডা. মোশতাক এসব কথা বলেন।

ঢামেকে এত লাশ ধারণের সক্ষমতাও ছিল না বলে উল্লেখ করেন ডা. মোশতাক। হেফাজতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশি মামলায় রিমান্ডের শিকার ব্যক্তিদের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

তথাপি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। বাকিরা শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে ট্রমার শিকার হয়ে বেঁচে থাকেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক একটি ঘটনা আমি শেয়ার করতে চাই। আজিমপুরে একজন ভদ্রলোক মারা গেছেন গানশট ইনজুরিতে (গুলিতে)। সেটা বলা হইছিল আমাদের, পুলিশের গুলিতে মারা গেছে, এটা ডেথ সার্টিফিকেটে (মৃত্যু সনদ) লেখা যাবে না। লিখতে হবে তিনি এক্সিডেন্টালি (দুর্ঘটনায় মৃত্যু) মারা গেছেন।

এমন নির্দেশনা কে দিয়েছিল, জানতে চাইলে মোশতাক আহমেদ বলেন, এটা হসপিটাল অথরিটি (কর্তৃপক্ষ)।