ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

মো. বদরুল আলম, গোলাপগঞ্জ (সিলেট)
  • আপডেট সময় : ৭৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোর মধ্যে অন্যতম গোলাপগঞ্জ মডেল থানা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে এ থানা পুলিশ। গত অক্টোবর মাসের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, থানাটি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর মাসে মোট ২০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ২টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা , ১টি খুন (মার্ডার) মামলা , ৩টি মাদক সংক্রান্ত মামলা , এবং ১৪টি অন্যান্য অপরাধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময়ে পুলিশ বিভিন্ন মামলায় মোট ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার অভিযান পরিচালনায় থানার কর্মকর্তা ও সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে ৮২টি ওয়ারেন্ট নিস্পত্তি করাও পুলিশের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অক্টোবর মাসে তদন্তাধীন মামলাগুলোর মধ্যে ১৫টি মামলা সফলভাবে নিস্পত্তি করা হয়েছে। তদন্তে স্বচ্ছতা, প্রমাণ সংগ্রহে দক্ষতা ও আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করায় মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন,আমরা আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছি। মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ যেকোনো অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জনসাধারণের সহযোগিতায় গোলাপগঞ্জকে একটি শান্তিপূর্ণ উপজেলায় পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।
ওসি আরও জানান, থানার প্রতিটি ইউনিটকে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় রাখা হয়েছে। বিশেষ করে মাদকবিরোধী অভিযান, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা এবং চুরি-ডাকাতি রোধে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ নাগরিকরা জানিয়েছেন, পুলিশের সাম্প্রতিক তৎপরতার ফলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশের কার্যকর ভূমিকা ও জনগণের সহযোগিতা থাকলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা শিগগিরই একটি “অপরাধমুক্ত থানার” উদাহরণ হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও সমাজকর্মী তামিম আহমদ বলেন,
“এখন থানায় অভিযোগ দিলে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়। গ্রেফতার ও ওয়ারেন্ট নিস্পত্তির হার বেড়েছে, যা পুলিশের আন্তরিকতারই প্রমাণ।”
অন্যদিকে, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে পুলিশ ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জের শিক্ষাবিদ ও তরুণ সমাজ।
অক্টোবর মাসের এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট—গোলাপগঞ্জ মডেল থানা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, বরং জনআস্থা পুনরুদ্ধারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সামনের দিনগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকলে, গোলাপগঞ্জ হতে পারে “শান্তি ও নিরাপত্তার মডেল উপজেলা।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

আপডেট সময় :

সিলেট জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোর মধ্যে অন্যতম গোলাপগঞ্জ মডেল থানা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে এ থানা পুলিশ। গত অক্টোবর মাসের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, থানাটি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর মাসে মোট ২০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ২টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা , ১টি খুন (মার্ডার) মামলা , ৩টি মাদক সংক্রান্ত মামলা , এবং ১৪টি অন্যান্য অপরাধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময়ে পুলিশ বিভিন্ন মামলায় মোট ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার অভিযান পরিচালনায় থানার কর্মকর্তা ও সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে ৮২টি ওয়ারেন্ট নিস্পত্তি করাও পুলিশের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অক্টোবর মাসে তদন্তাধীন মামলাগুলোর মধ্যে ১৫টি মামলা সফলভাবে নিস্পত্তি করা হয়েছে। তদন্তে স্বচ্ছতা, প্রমাণ সংগ্রহে দক্ষতা ও আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করায় মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন,আমরা আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছি। মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ যেকোনো অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জনসাধারণের সহযোগিতায় গোলাপগঞ্জকে একটি শান্তিপূর্ণ উপজেলায় পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।
ওসি আরও জানান, থানার প্রতিটি ইউনিটকে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় রাখা হয়েছে। বিশেষ করে মাদকবিরোধী অভিযান, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা এবং চুরি-ডাকাতি রোধে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ নাগরিকরা জানিয়েছেন, পুলিশের সাম্প্রতিক তৎপরতার ফলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশের কার্যকর ভূমিকা ও জনগণের সহযোগিতা থাকলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা শিগগিরই একটি “অপরাধমুক্ত থানার” উদাহরণ হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও সমাজকর্মী তামিম আহমদ বলেন,
“এখন থানায় অভিযোগ দিলে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়। গ্রেফতার ও ওয়ারেন্ট নিস্পত্তির হার বেড়েছে, যা পুলিশের আন্তরিকতারই প্রমাণ।”
অন্যদিকে, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে পুলিশ ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জের শিক্ষাবিদ ও তরুণ সমাজ।
অক্টোবর মাসের এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট—গোলাপগঞ্জ মডেল থানা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, বরং জনআস্থা পুনরুদ্ধারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সামনের দিনগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকলে, গোলাপগঞ্জ হতে পারে “শান্তি ও নিরাপত্তার মডেল উপজেলা।”