ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

গোলাপগঞ্জে দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ হাসপাতাল, জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

মো. বদরুল আলম, গোলাপগঞ্জ (সিলেট)
  • আপডেট সময় : ৩৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ এলাকায় অবস্থিত কালিকা প্রসাদ দাতব্য চিকিৎসালয় দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। একসময় এটি এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে হাসপাতালটি ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে এবং স্থানীয়দের জন্য বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাসপাতালের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে, দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন এই হাসপাতাল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য রোগী চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল। এখন এটি শুধু আবর্জনা ফেলার জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমরা চাই, কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন মোবাইল ফোনে জানান, আগামী অক্টোবর মাসে একজন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় আছে। বাজারের কিছু ব্যবসায়ী এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ আরও নষ্ট হয়েছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে, তবে খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন চন্দ্র পাল মোবাইল ফোনে জানান, আমরা উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখানে দুইজন পরিচ্ছন্ন কর্মী উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে হাসপাতালটি আবারও নিরাপদ ও সহজলভ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পুনরায় কার্যকর হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোলাপগঞ্জে দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ হাসপাতাল, জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

আপডেট সময় :

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ এলাকায় অবস্থিত কালিকা প্রসাদ দাতব্য চিকিৎসালয় দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। একসময় এটি এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে হাসপাতালটি ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে এবং স্থানীয়দের জন্য বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাসপাতালের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে, দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন এই হাসপাতাল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য রোগী চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল। এখন এটি শুধু আবর্জনা ফেলার জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমরা চাই, কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন মোবাইল ফোনে জানান, আগামী অক্টোবর মাসে একজন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় আছে। বাজারের কিছু ব্যবসায়ী এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ আরও নষ্ট হয়েছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে, তবে খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন চন্দ্র পাল মোবাইল ফোনে জানান, আমরা উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখানে দুইজন পরিচ্ছন্ন কর্মী উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে হাসপাতালটি আবারও নিরাপদ ও সহজলভ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পুনরায় কার্যকর হবে।