ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

ঘর থেকে দু’পা ফেলিয়া : ঈদের ছুটিতে সপরিবারে ঘুরে আসুন পানাম নগরী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪ ৩২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঐতিহাসিক পানাম নগরী। ১৫ শতকে ঈশা খাঁ সোনারগাঁয়ে বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। সোনারগাঁয়ের প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয় এই নগরী। বাংলাদেশীদের কাছে এটি হারানো নগরী হিসাবেও সুপরিচিত। ঢাকার পার্শবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে পানাম নগর অবস্থিত। ঢাকা থেকে খুব সহজেই চলে আসা যায় পানাম। পাশেই সোনারগাঁও লোকজাদুঘর।

প্রাচীন এই নগরীর বড় মায়া। একবার ঘুরে আসলে বার বার সেখানে যেতে মন চায়। শান্ত পরিবেশ, পাখপাখালির কিচিরমচির আর নগরীর ভেতর দিয়ে লম্বা পথ ধরে চলতে চলতে পানাম নগরী দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

এই পানাম নগরী ১৫ শতকে বাংলার রাজধানী ছিলো। এটি সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশা খাঁর সময়কাল থেকেই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। এখানে বসেই সোনারগাঁয়ের রাজকার্য পরিচালনা করা হতো। পানাম নগরীর অবকাঠোমো ব্রিটিশ আমলের।

অট্টালিকা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, নাচ ঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, প্রশস্ত দেয়াল, ভোজনালয়, বিচারালয়, প্রমোদ কুঞ্জ ইত্যাদি সবই রয়েছে। এই পানাম নগরীতেই দেখতে পাবেন চারশ’ বছরের পুরনো মঠ বাড়ি। এর ঠিক পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির নীলকুঠি। রয়েছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন।

পানাম নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খিরাজ খাল। শেরশাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছুটা অস্তিত্ব আজও ঠিকে আছে পানামে। তবে হাল আমলে তা পাকা করা হয়।

ইটপাথরের নগরী ছেড়ে কোলাহলমুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরত্বে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন। পাশাপাশি সোনারগাঁও ঐতিহাসিক সোনারগাঁও লোকজাদুঘরও পরিদর্শন করে আসুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘর থেকে দু’পা ফেলিয়া : ঈদের ছুটিতে সপরিবারে ঘুরে আসুন পানাম নগরী

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

 

ঐতিহাসিক পানাম নগরী। ১৫ শতকে ঈশা খাঁ সোনারগাঁয়ে বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। সোনারগাঁয়ের প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয় এই নগরী। বাংলাদেশীদের কাছে এটি হারানো নগরী হিসাবেও সুপরিচিত। ঢাকার পার্শবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে পানাম নগর অবস্থিত। ঢাকা থেকে খুব সহজেই চলে আসা যায় পানাম। পাশেই সোনারগাঁও লোকজাদুঘর।

প্রাচীন এই নগরীর বড় মায়া। একবার ঘুরে আসলে বার বার সেখানে যেতে মন চায়। শান্ত পরিবেশ, পাখপাখালির কিচিরমচির আর নগরীর ভেতর দিয়ে লম্বা পথ ধরে চলতে চলতে পানাম নগরী দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

এই পানাম নগরী ১৫ শতকে বাংলার রাজধানী ছিলো। এটি সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশা খাঁর সময়কাল থেকেই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। এখানে বসেই সোনারগাঁয়ের রাজকার্য পরিচালনা করা হতো। পানাম নগরীর অবকাঠোমো ব্রিটিশ আমলের।

অট্টালিকা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, নাচ ঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, প্রশস্ত দেয়াল, ভোজনালয়, বিচারালয়, প্রমোদ কুঞ্জ ইত্যাদি সবই রয়েছে। এই পানাম নগরীতেই দেখতে পাবেন চারশ’ বছরের পুরনো মঠ বাড়ি। এর ঠিক পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির নীলকুঠি। রয়েছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন।

পানাম নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খিরাজ খাল। শেরশাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু পর্যন্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছুটা অস্তিত্ব আজও ঠিকে আছে পানামে। তবে হাল আমলে তা পাকা করা হয়।

ইটপাথরের নগরী ছেড়ে কোলাহলমুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরত্বে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন। পাশাপাশি সোনারগাঁও ঐতিহাসিক সোনারগাঁও লোকজাদুঘরও পরিদর্শন করে আসুন।