ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

জয়পুরহাটে পৌর সড়কের বেশির ভাগই বেহাল

চলতি মাসেই কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি প্রকৌশলীর

এম.এ.জলিল রানা, জয়পুরহাট
  • আপডেট সময় : ৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটে পৌর শহরের বেশির ভাগই সড়কের বেহাল দশা, চলতি মাসের মধ্যেই কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিলেন পৌর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: মিজানুর রহমান। স্থানীয়দের হাজারো অভিযোগ, বছর ঘুরে পৌর করসহ অন্যান্য কর যথাসময়ে পরিশোধ করলেও তারা ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না পৌরবাসী। তারা আরও বলেন, সব নেতাদের একই বুলি ,অনেক কাজ শুরু করেছি ,শেষ করা সম্ভব হয়নি,আগামীতে ভোট দিলে বাঁকি কাজ শেষ করবো। তবে চলতি মাসের মধ্যে নতুন করে ১৬টি সড়ক ও ৫টি ড্রেন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
দেশ স্বাধীনের পর থেকেই নগরায়ন ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব বাড়তে থাকে এই জেলার। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৫ সালের ৮ জানুয়ারি ২০ দশমিক ৭২ বর্গ কি:মি:এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে জয়পুরহাট পৌরসভা। পরবর্তীতে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৯১ সালের ১৯ জুন জয়পুরহাট পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা পায়নি পৌর বাসিন্দারা এবং দৃশ্যমান হয়নি উন্নয়নের ছোঁয়া।
পৌর শহরের দেবীপুর সড়ক, চিত্রা রোড, ডিসি চত্বর থেকে সরদারপাড়া রোড,ধানমন্ডি রোড ও ডায়াবেটিস সড়কসহ বিভিন্ন মহল্লার অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা,এক কথায় খানা খান্দায় ভরা । বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়া এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এসব সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যেই চলা ফেরা করছেন স্থানীয়রা।
গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন জয়পুরহাটের সভাপতি মো: রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বছর ঘুরে পৌর করসহ অন্যান্য উৎস কর যথাসময়ে পরিশোধ করলেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না।’
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ২১৯ কি:মি:। এর মধ্যে ৪০ কি:মি: কার্পেটিং, ১০ কি:মি:মাটির, ১৩০ কি:মি:আরসিসি এবং ৪৫ কি:মি:এইচবিবি সড়ক রয়েছে।
শহরের ব্যাটারী চালিত ইজি পাওয়ার চালক হাসান, মনোয়ার, নাজিম, চার্জার রিক্সা চালক মোজাফফর, বেলাল, ভ্যান চালক কাদের, মোমেন, সুকুমার এবং নাম না বলার শর্তে একাধিক হোটেল ব্যবসায়ী ও মোদী দোকানিরা সবাই একমত পোষণ করে বলেন, প্রতিদিন রিক্সা,ভ্যান ও ইজি পাওয়ার থেকে পলাতক আওয়ামী-লীগের মেয়র যত টাকা চাঁদাবাজী করেছে এই টাকা হলেই জয়পুরহাট পৌর শহরের রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেক উন্নত করা সম্ভব,অথচ রাস্তা-ঘাটের করুন দশার কারনে সীমাহীন জনদোর্ভোগ দেখার যেন কেউ নাই।
জয়পুরহাটে পৌর সড়কের বেশির ভাগই বেহাল দশা নিয়ে পৌর এলাকার ইমাম,শিক্ষক,সমাজ সেবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সচেতন ব্যক্তিবর্গরা বলেন,পালাবদলে যারাই মেয়রের চেয়ারে বসেছে,সবাই নাম মাত্র কাজ করে বাঁকী সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার করেছে। তাই স্থানীয় দৃশ্যমান উন্নয়নের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিদিদের জবাবদেহিতার আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন তারা ।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: মিজানুর রহমান বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ৮-১০টি সড়কের কাজ শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে পৌর সড়কের বেশির ভাগই বেহাল

চলতি মাসেই কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি প্রকৌশলীর

আপডেট সময় :

জয়পুরহাটে পৌর শহরের বেশির ভাগই সড়কের বেহাল দশা, চলতি মাসের মধ্যেই কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিলেন পৌর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: মিজানুর রহমান। স্থানীয়দের হাজারো অভিযোগ, বছর ঘুরে পৌর করসহ অন্যান্য কর যথাসময়ে পরিশোধ করলেও তারা ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না পৌরবাসী। তারা আরও বলেন, সব নেতাদের একই বুলি ,অনেক কাজ শুরু করেছি ,শেষ করা সম্ভব হয়নি,আগামীতে ভোট দিলে বাঁকি কাজ শেষ করবো। তবে চলতি মাসের মধ্যে নতুন করে ১৬টি সড়ক ও ৫টি ড্রেন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
দেশ স্বাধীনের পর থেকেই নগরায়ন ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব বাড়তে থাকে এই জেলার। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৫ সালের ৮ জানুয়ারি ২০ দশমিক ৭২ বর্গ কি:মি:এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে জয়পুরহাট পৌরসভা। পরবর্তীতে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৯১ সালের ১৯ জুন জয়পুরহাট পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা পায়নি পৌর বাসিন্দারা এবং দৃশ্যমান হয়নি উন্নয়নের ছোঁয়া।
পৌর শহরের দেবীপুর সড়ক, চিত্রা রোড, ডিসি চত্বর থেকে সরদারপাড়া রোড,ধানমন্ডি রোড ও ডায়াবেটিস সড়কসহ বিভিন্ন মহল্লার অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা,এক কথায় খানা খান্দায় ভরা । বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়া এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এসব সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যেই চলা ফেরা করছেন স্থানীয়রা।
গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন জয়পুরহাটের সভাপতি মো: রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বছর ঘুরে পৌর করসহ অন্যান্য উৎস কর যথাসময়ে পরিশোধ করলেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না।’
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ২১৯ কি:মি:। এর মধ্যে ৪০ কি:মি: কার্পেটিং, ১০ কি:মি:মাটির, ১৩০ কি:মি:আরসিসি এবং ৪৫ কি:মি:এইচবিবি সড়ক রয়েছে।
শহরের ব্যাটারী চালিত ইজি পাওয়ার চালক হাসান, মনোয়ার, নাজিম, চার্জার রিক্সা চালক মোজাফফর, বেলাল, ভ্যান চালক কাদের, মোমেন, সুকুমার এবং নাম না বলার শর্তে একাধিক হোটেল ব্যবসায়ী ও মোদী দোকানিরা সবাই একমত পোষণ করে বলেন, প্রতিদিন রিক্সা,ভ্যান ও ইজি পাওয়ার থেকে পলাতক আওয়ামী-লীগের মেয়র যত টাকা চাঁদাবাজী করেছে এই টাকা হলেই জয়পুরহাট পৌর শহরের রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেক উন্নত করা সম্ভব,অথচ রাস্তা-ঘাটের করুন দশার কারনে সীমাহীন জনদোর্ভোগ দেখার যেন কেউ নাই।
জয়পুরহাটে পৌর সড়কের বেশির ভাগই বেহাল দশা নিয়ে পৌর এলাকার ইমাম,শিক্ষক,সমাজ সেবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সচেতন ব্যক্তিবর্গরা বলেন,পালাবদলে যারাই মেয়রের চেয়ারে বসেছে,সবাই নাম মাত্র কাজ করে বাঁকী সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার করেছে। তাই স্থানীয় দৃশ্যমান উন্নয়নের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিদিদের জবাবদেহিতার আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন তারা ।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: মিজানুর রহমান বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ৮-১০টি সড়কের কাজ শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’