ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুড়ীতে ডিবি হাতে ৪১০ ইয়াবাসহ ০১ জন আটক  Logo কিশোরগঞ্জে নিকলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারও মাদক নির্মূলে সংবাদ সম্মেলন করছেন  Logo ঝিনাইদহে ভয়াবহ আগুনে পড়ল দুটি ট্রাক Logo পলাশবাড়ীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রবি গ্রেফতার Logo ডামুড্যায় জাকের পার্টি মৎস্যজীবী ফ্রন্টের দাওয়াতি মিশন সভা অনুষ্ঠিত Logo বিএমএসএস ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ফিরোজ এর আগমণে সিলেট জেলা ২০৯৭ শ্রমিক জোটের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান Logo নাটোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Logo ছাত্রনেতা পারভেজ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তিতাস উপজেলা ছাত্রদল  Logo নেত্রকোণার কলমাকান্দায় অবৈধভাবে জমি বিক্রয়ের সাইনবোর্ড টাঙানোর অভিযোগ  Logo ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে তিন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিক্ষানুরাগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কবির

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ৮১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় কবির কলেজিয়েট, শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজসহ অসংখ্য মসজিদ, মাদসারা গোরস্থান এর প্রতিষ্ঠাতা ও স্থাপনকারী, সম্মুখসমরে অংশগ্রহণকারী বীরমুক্তিযুদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল কবির চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ ) সকাল ১১টার দিকে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

 

এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় ব্রেইন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল কবির হবিগঞ্জের শিক্ষাবিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। জায়গা ও অর্থ দিয়ে নিজ গ্রামে মায়ের নামে ‘জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ’ এবং হবিগঞ্জের আনন্দপুরে নিজের নামে কবির কলেজিয়েট একাডেমি স্থাপন করেন। সাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাবাসপুর জামে মসজিদ, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজে মসজিদুল আমিন, বাবার নামে বিরামচর গ্রামে আশরাফ উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তিনি নির্মাণ করেছেন নিজ অর্থে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল কবির ১৯৫৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর সাবাসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯৭৯ সালে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ক্যাপেটন এজাজ আহমদ চৌধুরীর অধীনে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজরের বিভিন্ন যুদ্ধ ক্ষেত্রে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। স্বাধীনাতার পরে তিনি ব্যবসার সাথে জড়িত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি আশরাফিয়া লাইব্রেরী ও ১৯৮৪ সালে নিশান ওভারসীজ পরে আইডিয়াল বিজনেস সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি জনশক্তি রপ্তানীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। হবিগঞ্জ সমিতি, জালালাবাদ এসাসিয়েশন ও হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের তিনি আজীবন সদস্য ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিক্ষানুরাগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কবির

আপডেট সময় : ০৩:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

 

হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় কবির কলেজিয়েট, শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজসহ অসংখ্য মসজিদ, মাদসারা গোরস্থান এর প্রতিষ্ঠাতা ও স্থাপনকারী, সম্মুখসমরে অংশগ্রহণকারী বীরমুক্তিযুদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল কবির চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ ) সকাল ১১টার দিকে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

 

এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় ব্রেইন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল কবির হবিগঞ্জের শিক্ষাবিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। জায়গা ও অর্থ দিয়ে নিজ গ্রামে মায়ের নামে ‘জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ’ এবং হবিগঞ্জের আনন্দপুরে নিজের নামে কবির কলেজিয়েট একাডেমি স্থাপন করেন। সাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাবাসপুর জামে মসজিদ, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজে মসজিদুল আমিন, বাবার নামে বিরামচর গ্রামে আশরাফ উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তিনি নির্মাণ করেছেন নিজ অর্থে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল কবির ১৯৫৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর সাবাসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯৭৯ সালে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ক্যাপেটন এজাজ আহমদ চৌধুরীর অধীনে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজরের বিভিন্ন যুদ্ধ ক্ষেত্রে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। স্বাধীনাতার পরে তিনি ব্যবসার সাথে জড়িত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি আশরাফিয়া লাইব্রেরী ও ১৯৮৪ সালে নিশান ওভারসীজ পরে আইডিয়াল বিজনেস সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি জনশক্তি রপ্তানীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। হবিগঞ্জ সমিতি, জালালাবাদ এসাসিয়েশন ও হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের তিনি আজীবন সদস্য ছিলেন।