জবির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সয়ম সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
গতকাল রোববার ধূপখোলা মাঠ প্রদক্ষিণ করে এ প্রতিবাদ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শাখা বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর বিচার হীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। একজন অপরাধী যখন বিচার না হয় তখন তার আশেপাশের মানুষ ভাবে ওর তো বিচার হয়নি দোষ করলে আমারও বিচার হবে না। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে লাঞ্ছনা করা হয়।
আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মেসে বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়। এছাড়াও টিউশনি করাতে হয়। কিন্তু সেই টিউশনি এসেও নারী শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। তাদের নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই এই নিপীড়কদের তুমি তো সময়ের মধ্যে গ্রেফতার এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি ইভান তাহসিব বলেন, আমরা ২০ বছর পার করতে চলেছি, কিন্তু এরকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় নি। কিন্তু ইদানীং শিক্ষার্থীদের সাথে হেনস্তার ঘটনা বেড়েছে। আজ একজন নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছনা করা হয়েছে। জুলাই পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদেরকে স্থানীয়দের সাথে মুখোমুখি করার পায়তারা চলছে। শিক্ষার্থীদের অনিরাপত্তায় রাখার মধ্যে দিয়ে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে আজকের এই ঘটনা হতে পারে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই লাঞ্ছনাকারীকে আটক করতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, যেখানে আমাদের মা বোনদেরকে নিপীড়ন করা হবে, আমরা সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হবো। এবং সেই কালো হাতকে আমরা ভেঙে দেবো। আজকের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করে, জবিয়ানদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা বলতে চাই, সকল নিপীড়করা ভালো হয়ে যাও, নাহলে জেলে পঁচে মরবে।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যার ৮টার দিকে টিউশন করাতে গিয়ে গেন্ডারিয়া থানাধীন ডিস্টিলারি রোড ফজলুর রহমান নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি ইনষ্টিটিউট এলাকায় জবির এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির শিকার হন। এঘটনায় রাত পৌনে ১১টার দিকে গেন্ডারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।


















