জয়পুরহাটে নকল বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
 
জয়পুরহাটের কালাইয়ে নকল ধান বীজ কিনে প্রতারিত হন স্থানীয় কৃষকরা। রোপা আমন মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডার থেকে কালাই উপজেলার মুড়াইল এলাকার কয়েকজন কৃষক।
ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের ১৮ একর জমির ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।
কৃষকরা জানান, তারা প্রায় ১৮ একর জমিতে নয়ন সীডের সুগন্ধী হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের ডিলার আশিক বীজ ভান্ডার থেকে বীজ ধান কিনেছিলেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছেন।
ধানের ফলনের আগ মুহূর্তে প্রায় ১৮ একর জমির ধানের কুশিতে ভিন্নতা খুঁজে পায় কৃষকরা। এ অবস্থায় কালাই উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে সরেজমিনে জমি পরিদর্শন করে ভেজাল বীজের কারণে এমন পরিস্থিতির বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এমদাদুল হক, নুর মোহাম্মদ, বকুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীমের কাছ থেকে নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড বীজ ধান কিনেছিলেন তারা।
বীজ ডিলার আব্দুল আলীম বলেন, সমস্যা হতেই পারে, বীজ তো আর আমরা তৈরি করিনা, এটা কোম্পানি থেকে আসে। অভিযোগকারী কৃষক ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরণাপন্ন হলে তিনি দু’পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, বেশ কয়েকজন কৃষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরে জমিনে গিয়ে এর সত্যতা পান। ভেজাল বীজের কারনে ফলনে বিপর্যয় দেখা গেছে। একই গোছার ভিন্ন-ভিন্ন কুশিতে ধানের ভিন্ন-ভিন্ন স্টেজ লক্ষ্য করা যায়। ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। বীজ ডিলার আমার উপজেলার আওতায় না হওয়ায় বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
																			






















