জলঢাকায় নদী ভাঙ্গনের সংবাদ প্রকাশের পর এলাকা পরিদর্শন

- আপডেট সময় : ৪৯ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর জলঢাকায় দেওনাই চারালকাটা নদী ভাঙ্গনের ফলে চাষাবাদ জমি, বসতবাড়ি মসজিদ মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নতুন পুরাতন কবর ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলুপ্ত হওয়ার আতংকে দিনাতিপাত করছে তীরবর্তী ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টিবাদলের কারণে উত্তাল স্রোতে বসতবাড়ি, গাছপালা ও চাষাবাদ জমিসহ নতুন-পুরাতন কবর ভেঙে নদীগর্ভে বিলপ্ত হওয়ার সংবাদটি দৈনিক সংবাদ সংযোগসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় ও নীলফামারী জেলার কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশদাহ গ্রামের দেওনাই চারালকাটা নদী ভাঙ্গন এলাকায় পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর পানি উন্নয়ন সার্কেল-২ মিজানুর রহমান ও নীলফামারী পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান। পরিদর্শনকালে নদী ভাঙ্গন এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের সাথে কথাও বলেন তাঁরা, দ্রুত গতিতে ভাঙ্গনরোধে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বস্ত করেন।
(এসি) মিজানুর রহমান বলেন, নীলফামারী পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয় এটার বিষয় একটা উপস্থাপন করেছেন তাই আমি আসলাম, বাস্তবে কি অবস্থা তা দেখার জন্য। তিনি বলেন, কি রকম ক্ষয়ক্ষতি এবং পাশাপাশি কিরকম স্থাপনা আছে, এগুলো থেকে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এটা তুলে ধরে আমি অনুমতি চাইবো, যাতে অনতিবিলম্বে কিছু কাজ করার সুযোগ দেয়। দ্রুত ভাঙ্গন রোধের বিষয় তিনি বলেন, ভাঙ্গন রোধের জন্য দ্রুত একটা ব্যবস্থা আছে, যদি জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা কিছু প্রতিরক্ষা কাজ আছে যেমন জিও ব্যাগ ব্যবহার করে আমরা কিছু কাজ করি, সেই ধরনের কাজের আমি উপস্থাপন করব আমি অনুমতি পেলেই বলে দেবো যাতে কাজটি দ্রুত করে দেয়। পাশাপাশি শুধু এই একটা দুইটা পয়েন্ট না, দেওনাই চারালকাটা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এই ধরনের ভাঙ্গন আছে যাতে স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা কাজের জন্য আমরা নতুন করে একটা প্রকল্পের প্রস্তাবনা আমরা শিগগিরই দেবো, এই প্রকল্পটা যদি ফাইনালি অনুমোদন হয় স্থায়ীভাবে এই কাজগুলোকে আমরা ব্লক দিয়ে করে দেব।
পরিদর্শনকালে এই সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী উপবিভাগ-২ তাজমিনুর রহমান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা নীলফামারী পানি উন্নয়ন শাখা-৩ মাহমুদুল হাসান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা নীলফামারী পানি উন্নয়ন শাখা-৪ একরামুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।