জামালপুরে ১৮ ইউনিয়ন প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ২৩৩ বার পড়া হয়েছে
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে কালভার্ট-সড়ক। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টার জমির ফস। বিচ্ছিন্ন রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ রাখা হয়েছে ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ উপজেলার মোট ১৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল-শাকসবজি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পানি বৃদ্ধি পাবার কারণে জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেই সঙ্গে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, যমুনার পানির তোড়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুর ইউনিয়নের সুখনগর-নাংলা সড়কের একটি বক্স কালভার্ট ভেসে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে বালিজুড়ি ও জোড়খালি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চরপাকের দহ ইউনিয়নের কোয়ালিকান্দি-নব্যচর সড়কের কালভার্টসহ ১০০ মিটার অংশ ভেসে গিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার গোঠাইল-ইসলামপুর, ইসলামপুর-উলিয়া বাজার, ইসলামপুর-মাহমুদপুর ও মাহমুদপুর-মেলান্দহ সড়ক তলিয়ে গেছে। বন্ধ রাখা হয়েছে প্রায় ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যা কবলিত পরিবার গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যার্তদের জন্য ৩০০ টন চাল ও ৩ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১১টি মেডিকেল টিম করা হয়েছে।