ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

জালিয়াপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় জালিয়াপাড়া বাজারে গতরাতে ১.৪৪ মিনিটে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ১৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১ টা ৪৪ মিনিটে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আনসার ও ভিডিপি সদস্যা আগুন নিভাতে সহায়তা করে, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট দীর্ঘ আসার আগেই দোকান গুলো পুড়ে যায়। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবর পেয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আকতার, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী এবং সেনাবাহিনীর অফিসারগণ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ইউএনও আইরিন আকতার ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন এবং সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন,উপজেলা প্রশাসন এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে এবং যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, গুইমারা উপজেলা সদরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কোনো কার্যালয় না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন,গুইমারাতে যদি একটি ফায়ার সার্ভিস অফিস থাকতো তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যেতো। কয়েকদিন আগে গুইমারা ঘটনার পর জালিয়াপাড়া এই ঘটনার যোগসূত্র খাকতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। আমাদের ১৯টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যেত না, হয়তোবা এই ক্ষতি কিছুটা কমানো যেত।
ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের পর আবারও স্থানীয়রা দ্রুত এই উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস অফিস স্থাপনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জালিয়াপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই

আপডেট সময় :

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় জালিয়াপাড়া বাজারে গতরাতে ১.৪৪ মিনিটে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ১৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১ টা ৪৪ মিনিটে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আনসার ও ভিডিপি সদস্যা আগুন নিভাতে সহায়তা করে, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট দীর্ঘ আসার আগেই দোকান গুলো পুড়ে যায়। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবর পেয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আকতার, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী এবং সেনাবাহিনীর অফিসারগণ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ইউএনও আইরিন আকতার ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন এবং সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন,উপজেলা প্রশাসন এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে এবং যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, গুইমারা উপজেলা সদরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কোনো কার্যালয় না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন,গুইমারাতে যদি একটি ফায়ার সার্ভিস অফিস থাকতো তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যেতো। কয়েকদিন আগে গুইমারা ঘটনার পর জালিয়াপাড়া এই ঘটনার যোগসূত্র খাকতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। আমাদের ১৯টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যেত না, হয়তোবা এই ক্ষতি কিছুটা কমানো যেত।
ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের পর আবারও স্থানীয়রা দ্রুত এই উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস অফিস স্থাপনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।