ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ : ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোমালিয়ান জলদস্যু ও বাংলাদেশি জাহাজের মালিক পক্ষের যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। ২৩ নাবিকসহ জাহাজ জিম্মির ৯ দিনের মাথায় দস্যুদের সঙ্গে এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হলো।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

মিজানুল বলেন, বুধবার সোমালিয়ার দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আশা করছি উভয় পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হবে। জাহাজের জিম্মি নাবিকরা সুস্থভাবে ফিরে আসবেন। আলোচনায় দস্যুদের দাবি-দাওয়া বা শর্ত এসব বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেননি মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরীর মতে, এখানে চার ধরনের দস্যু গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপ জাহাজ আটক করেছে। আরেকটা গ্রুপ জাহাজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর চার নম্বর গ্রুপের দায়িত্ব মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করা। এখন কোন গ্রুপ যোগাযোগ করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেছেন, দস্যুরা মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে কত ডলার দাবি করেছে তা বলা যাচ্ছে। প্রথমে দস্যুরা অনেক বেশি দাবি করে এবং পরবর্তীতে উভয়ের পক্ষের দরকষাকষিতে কমে আসবে।

দস্যুরা অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং তীর থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী।

আতিক ইউ এ খান আরও বলেন, নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

 

সোমালিয়ান জলদস্যু ও বাংলাদেশি জাহাজের মালিক পক্ষের যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। ২৩ নাবিকসহ জাহাজ জিম্মির ৯ দিনের মাথায় দস্যুদের সঙ্গে এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হলো।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

মিজানুল বলেন, বুধবার সোমালিয়ার দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আশা করছি উভয় পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হবে। জাহাজের জিম্মি নাবিকরা সুস্থভাবে ফিরে আসবেন। আলোচনায় দস্যুদের দাবি-দাওয়া বা শর্ত এসব বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেননি মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরীর মতে, এখানে চার ধরনের দস্যু গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপ জাহাজ আটক করেছে। আরেকটা গ্রুপ জাহাজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর চার নম্বর গ্রুপের দায়িত্ব মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করা। এখন কোন গ্রুপ যোগাযোগ করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেছেন, দস্যুরা মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে কত ডলার দাবি করেছে তা বলা যাচ্ছে। প্রথমে দস্যুরা অনেক বেশি দাবি করে এবং পরবর্তীতে উভয়ের পক্ষের দরকষাকষিতে কমে আসবে।

দস্যুরা অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং তীর থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী।

আতিক ইউ এ খান আরও বলেন, নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।