ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জেলেদের চাল আত্মসাত: চাঁদপুরের রনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৭০ বার পড়া হয়েছে

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন পাটোয়ারী রনি : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঁদপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী জানিয়েছেন, জেলেদের বরাদ্দ ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে কোরবান আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে আদালতে পাঠায়। বিষয়টি দুদক সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।

তদন্ত করতে নেমে দেখা যায়, ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকল কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেন জানান কোরবান আলী।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পান।

জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ইউএনও চালের গোডাউন সিলগালা করে দিতে বলেন এবং গোডাউনটি সিলগালা করা হয়।

এই বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত এই মামলাটি দুদকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরে আদালতের নির্দেশক্রমে সিলগালা অবস্থায় থাকা গোডাউন থেকে চাল নিয়ে তা জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জেলেদের চাল আত্মসাত: চাঁদপুরের রনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

আপডেট সময় : ০৩:৪১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঁদপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী জানিয়েছেন, জেলেদের বরাদ্দ ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে কোরবান আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে আদালতে পাঠায়। বিষয়টি দুদক সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।

তদন্ত করতে নেমে দেখা যায়, ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকল কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেন জানান কোরবান আলী।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পান।

জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ইউএনও চালের গোডাউন সিলগালা করে দিতে বলেন এবং গোডাউনটি সিলগালা করা হয়।

এই বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত এই মামলাটি দুদকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরে আদালতের নির্দেশক্রমে সিলগালা অবস্থায় থাকা গোডাউন থেকে চাল নিয়ে তা জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।