জৈব চাষে সবুজ বিপ্লব বদলে যাচ্ছে মুক্তাগাছার তিন গ্রাম
- আপডেট সময় : ১৭ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়নের শিবপুর, কবিরপুর ও চাপুরিয়া এই তিনটি গ্রাম এখন বদলে গেছে জৈব কৃষির সাফল্যে।
অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় গ্রামের রাস্তার ধারে ও নদীর পাড়ের পতিত জমিতে গড়ে উঠেছে এক নতুন সবুজ বিপ্লব।
প্রায় ৩৫ জন কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে লাউ, মরিচ, বেগুন ও টমেটোসহ নানা সবজি চাষে যুক্ত করা হয়েছে। মাচায় লাউ চাষ ও বস্তায় সবজি উৎপাদনের এই অভিনব পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধুমাত্র জৈব তরল সার ও জৈবিক উপায়ে কীটনাশক। ফলে জমিতে কোনো রাসায়নিক কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ফলে কৃষকদের ঘরে ফিরেছে হাসি। তাজা, বিষমুক্ত লাউ কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ক্রেতাদের বেড়েছে গুণগত মানের এই সবজিতে।
শিবপুর গ্রামের কৃষক মোঃ শাজাহান মিয়া বলেন, আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া ফলন হবে ভাবতেও পারতাম না। এখন বুঝেছি কি ভাবে জৈব সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। আর এখন লাউ নিয়ে বাজারে যেতে হয় না এলাকার মানুষ বিষমুক্ত ও সুস্বাদু বলে যখন খুশি তখন এসে লাউ কিনে নিয়ে যায়।
এ উদ্যোগ শুধু পুরষরাই নয়, গ্রামের নারীরাও যুক্ত হচ্ছেন বিষমুক্ত সবজি চাষে। নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে গ্রামগুলো একন পরিণত হচ্ছে জৈব কৃষির মডেল গ্রামে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল করিম বলেন, এই তিন গ্রামের সফলতা দেখে আশপাশের এলাকাগুলোতেও কৃষকরা জৈব চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে আমি দারুণ খুশি।
মুক্তাগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার সিলমিন জাহান ইলমা বলেন, প্রকৃতির নিজের শক্তিই সবচেয়ে বড় সার। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি যেন তারা সব ধরনের ফসলে জৈব সার ও জৈবিক কীটনাশক ব্যবহার করেন। অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা চাই গ্রামের রাস্তার ধারে ও নদীর পাড়ের পতিত জমিগুলো সবুজে ভরে উঠুক। এটি শুধু উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নয়, বরং একটি টেকসই ও বিষমুক্ত কৃষি অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা চাই গ্রামের রাস্তার ধারে ও নদীর পাড়ের পতিত জমিগুলো সবুজে ভড়ে উঠুক। এটি শুধু উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নয়, বরং একটি টেকসই ও বিষমুক্ত কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়াস।
তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যেভাবে কৃষক ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছেন, তাতে খুব শিগগিরই মুক্তাগাছার এই গ্রামগুলো দেশের প্রথম জৈব গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
















