ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধুনিক কেবিন ব্লক ও দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা Logo গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক Logo কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির আস্থা লুৎফুর রহমান কাজল Logo উখিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুর সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত Logo কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ Logo যশোরে তরিকুল ইসলাম স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল Logo সাদুল্লাপুরে হলুদক্ষেতে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা,কৃষকের মাথায় হাত

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর
  • আপডেট সময় : ২১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
দূর থেকে দেখলে মনে হবে পাকা ধানে ভরে গেছে বোর ধানের ক্ষেত। কিন্তু বাস্তবে ক্ষেতে গেলে দেখা যায় পুরো ক্ষেতে নামমাত্র কোন ধান নেই, সবই চিটা।এমন ভয়ংকর ক্ষতিতে কৃষকদের মাথায় হাত! ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে। কৃষকরা বলছে, দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা তাদের ক্ষেতের ফসলকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বলছে, মাজরা পোকা দমনে বাজারের সবচেয়ে ভালো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জানা গেছে,পর্যটনের আনন্দে তুলশী মালার সুগন্ধে শেরপুর। ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা শেরপুর। গেলো বছর কয়েক দফা পাহাড়ী ঢলে পুরো জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করে বোর ধান চাষে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের শতাধিক একর জমিতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীড্স এর জনক রাজ বোর ধান সংগ্রহ করে বীজ রোপণ করেন। ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকরাও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেঁছিলো।
কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ধানের থোর বের হওয়ার সময় দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে কৃষকরা দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে উক্ত জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলেনি কোন প্রতিকার। এতে প্রায় শতাধিক একর জমির বোর ধান পুরোটাই চিটা। ফলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছে ওইসব কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় সার ও কীটনাশক ডিলার  এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে নানা প্রকার বিষ প্রয়োগের পরেও আমাদের বোর ক্ষেতের পুরো ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন আমরা সংসার চালাবো কিভাবে আর দায়-দেনা পরিশোধইবা করবো কিভাবে? আমাদের এই বিশাল ক্ষতির দায় এখন কে নেবে?এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. ফরহাদ হোসেন জানান,বোর ধান চাষীদের মাজরা পোকা দমনে বাজারের ভালো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা সহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক বিষয়ে খেঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।এদিকে এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন- উপজেলার ডেফলাই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের শতাধিক একর জমির বোর ধান চিটায় পরিণত হওয়ার পিছনে দায়ী স্থানীয় ডিলার কৃষি বিভাগনাকি বীজ কোম্পানী ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা,কৃষকের মাথায় হাত

আপডেট সময় :
দূর থেকে দেখলে মনে হবে পাকা ধানে ভরে গেছে বোর ধানের ক্ষেত। কিন্তু বাস্তবে ক্ষেতে গেলে দেখা যায় পুরো ক্ষেতে নামমাত্র কোন ধান নেই, সবই চিটা।এমন ভয়ংকর ক্ষতিতে কৃষকদের মাথায় হাত! ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে। কৃষকরা বলছে, দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা তাদের ক্ষেতের ফসলকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বলছে, মাজরা পোকা দমনে বাজারের সবচেয়ে ভালো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জানা গেছে,পর্যটনের আনন্দে তুলশী মালার সুগন্ধে শেরপুর। ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা শেরপুর। গেলো বছর কয়েক দফা পাহাড়ী ঢলে পুরো জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করে বোর ধান চাষে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের শতাধিক একর জমিতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীড্স এর জনক রাজ বোর ধান সংগ্রহ করে বীজ রোপণ করেন। ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকরাও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেঁছিলো।
কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ধানের থোর বের হওয়ার সময় দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে কৃষকরা দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে উক্ত জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলেনি কোন প্রতিকার। এতে প্রায় শতাধিক একর জমির বোর ধান পুরোটাই চিটা। ফলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছে ওইসব কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় সার ও কীটনাশক ডিলার  এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে নানা প্রকার বিষ প্রয়োগের পরেও আমাদের বোর ক্ষেতের পুরো ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন আমরা সংসার চালাবো কিভাবে আর দায়-দেনা পরিশোধইবা করবো কিভাবে? আমাদের এই বিশাল ক্ষতির দায় এখন কে নেবে?এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. ফরহাদ হোসেন জানান,বোর ধান চাষীদের মাজরা পোকা দমনে বাজারের ভালো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা সহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক বিষয়ে খেঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।এদিকে এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন- উপজেলার ডেফলাই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের শতাধিক একর জমির বোর ধান চিটায় পরিণত হওয়ার পিছনে দায়ী স্থানীয় ডিলার কৃষি বিভাগনাকি বীজ কোম্পানী ।