টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

- আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বরগুনার পাথরঘাটায় নদী ও সাগরের তীরে বসবাসকারী মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এনএসএস এর উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও প্রতীক লাশ সামনে রেখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৪ মে) সকালে পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর আগে শুক্রবার বিকেলে পাথরঘাটা পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নীলিমা পয়েন্ট বেড়িবাঁধ এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা সদর ইউনিয়নের পদ্মা ও জিনতলা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও প্রতিকি লাশ সামনে রেখে মানববন্ধন করা হয়। একই দাবিতে জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদেও স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং এনএসএস-এর এফোরটি প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এনএসএস এর একশন ফর ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. লিমন বিশ্বাস, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপিরেটর সুইট খান, এনএসএস এর প্রোজেক্ট অফিসার রুমা বেগম, ফেল সালমান এবং বরগুনা ইয়ুথ হাব (পাথরঘাটা) এর প্রায় অর্ধ শতাধিক এক্টিভিস্টাগণ উপস্থিত ছিলো।
ক্যাম্পেইনে ছিলো ফটো প্রদর্শনী, র্যালি, ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্পট ক্যাম্পেইন, স্কুল ও কলেজে এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান। এতে নারী, তরুণ, শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি, স্থানীয় প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দুর্বল ও ভাঙা বাঁধের কারণে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে, ফসলহানি ঘটে এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়মিত বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব বাঁধ এখন স্থানীয়দের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. লিমন বিশ্বাস, বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই মূল লক্ষ্য। তারা আশা প্রকাশ করেন, কমিউনিটির এমন সচেতনতা ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্রুত টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল বাঁধ নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে পাথরঘাটাবাসীর জন্য একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।