ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগীকে হত্যার চেষ্টা
- আপডেট সময় : ৭৬ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে হত্যা চেষ্টার
অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম (৪৫) এর ছেলে রাকিব হাসান বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী মোছাঃ রোকেয়া বেগম (৪৫), স্বামী- রশিদুল ইসলাম, গ্রাম-পূর্ব ছাতনাই এলাকার বাসিন্দা। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার উপর হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী রোগীর চিৎকারে ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর কন্যা বলেন, হামলাকারীরা হলেন একই এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম ওরফে নজমলের ছেলে রবিনুর ইসলাম, মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান (পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান) তার মা রোকেয়া বেগম হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় এলোপাতাড়ি কিলঘুশি মারে, গলা টিপে ধরে এবং বিষ মুখে ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগীর ছেলে রাকিব ইসলাম ডিমলা থানায় অভিযোগ দিলে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত জমি জায়গার বিষয় লইয়া পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও মফিজ উদ্দিন এর ছেলে মনির উদ্দিনের সহিত ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম এর স্বামী রশিদুল ইসলামের বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। রশিদুল ইসলাম বর্তমানে জেল হাজতে। ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসে। পরবর্তীতে তিনি হৃদরোগে আক্তান্ত হলে তার পরিবারের সদস্যরা ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম হাসাপাতালে ভর্তি থাকাবস্থায় তার উপর হামলা চালানো হয় ।
সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট আমি ডিমলা থানার এস আই আশরাফুল এর সাথে কথা বলেছি তিনি বলেন আমি সি সি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি এটি একটি মিথ্যা অভিযোগ ।
হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সের সুপার ভাইজার ডলি বেগমের নিকট স্থানীয় সংবাদকর্মী মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালকে সকালে আসেন, এ বিষয়ে কথা হবে। উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানি না আমাকে কেউ জানায় নাই ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।




















