ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

ডিমলায় আমন ধানের নমুনা সংগ্রহে শস্য কর্তন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৪২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের জমিতে আমন জাত ধানের নমুনা সংগ্রহে আনুষ্ঠানিক শস্য কর্তন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার ( ৮ অক্টোবর) ডিমলা সদরের বাবুর হাট হাজীপাড়ার সমসুল হকের ছেলে কৃষক মো: আমিরুল ইসলাম এর বিনা ১৭ জাতের ধানক্ষেত কর্তন করে ফলন পরিমাপ করা হয়। তিনি প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.২৮ মেট্রিক টন ধান ফলাতে সক্ষম হয়েছে।
চাষীদের মাঠে শস্যের সঠিক ফলন ও মোট উৎপাদন নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কার্যক্রমটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বাস্তব প্রয়োগ, যা জাতীয় উৎপাদন পরিসংখ্যান এবং কৃষি নীতিনির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
উক্ত শস্য কর্তন অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মীর হাসান আল বান্না, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো,রওশন কবির, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ফসল উৎপাদনকারী কৃষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
এ কার্যক্রমের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি অফিস ও পরিসংখ্যান অফিস যৌথভাবে শস্য কর্তন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
নমুনা শস্য কর্তন পদ্ধতির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় কোনো নির্দিষ্ট এলাকার ফসল উৎপাদনের গড় ফলন। সাধারণত একটি নির্ধারিত মাপের প্লট থেকে ধান কেটে তা পরিমাপের মাধ্যমে হিসাব করা হয় প্রতি হেক্টরে সম্ভাব্য উৎপাদনের পরিমাণ । এই তথ্যগুলো জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) কর্তৃক ব্যবহৃত হয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (DAE) কর্তৃক যাচাই করা হয়।
তারা মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ, ফলন নির্ধারণ পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ এবং কৃষকের মতামতও গ্রহণ করে থাকেন।
এই ধরনের নমুনা শস্য কর্তন কার্যক্রম দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাক । সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে সরকার কৃষকদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে কৃষির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিমলায় আমন ধানের নমুনা সংগ্রহে শস্য কর্তন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় :

নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের জমিতে আমন জাত ধানের নমুনা সংগ্রহে আনুষ্ঠানিক শস্য কর্তন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার ( ৮ অক্টোবর) ডিমলা সদরের বাবুর হাট হাজীপাড়ার সমসুল হকের ছেলে কৃষক মো: আমিরুল ইসলাম এর বিনা ১৭ জাতের ধানক্ষেত কর্তন করে ফলন পরিমাপ করা হয়। তিনি প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.২৮ মেট্রিক টন ধান ফলাতে সক্ষম হয়েছে।
চাষীদের মাঠে শস্যের সঠিক ফলন ও মোট উৎপাদন নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কার্যক্রমটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বাস্তব প্রয়োগ, যা জাতীয় উৎপাদন পরিসংখ্যান এবং কৃষি নীতিনির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
উক্ত শস্য কর্তন অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মীর হাসান আল বান্না, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো,রওশন কবির, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ফসল উৎপাদনকারী কৃষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
এ কার্যক্রমের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি অফিস ও পরিসংখ্যান অফিস যৌথভাবে শস্য কর্তন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
নমুনা শস্য কর্তন পদ্ধতির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় কোনো নির্দিষ্ট এলাকার ফসল উৎপাদনের গড় ফলন। সাধারণত একটি নির্ধারিত মাপের প্লট থেকে ধান কেটে তা পরিমাপের মাধ্যমে হিসাব করা হয় প্রতি হেক্টরে সম্ভাব্য উৎপাদনের পরিমাণ । এই তথ্যগুলো জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) কর্তৃক ব্যবহৃত হয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (DAE) কর্তৃক যাচাই করা হয়।
তারা মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ, ফলন নির্ধারণ পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ এবং কৃষকের মতামতও গ্রহণ করে থাকেন।
এই ধরনের নমুনা শস্য কর্তন কার্যক্রম দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাক । সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে সরকার কৃষকদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে কৃষির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে।