ডিমলায় হত্যার চেষ্টা আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ২৬ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার জেলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজে চাঞ্চল্যকর ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটের দিকে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় একই প্রতিষ্ঠানের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিম হোসেনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল-আলামিন ।এ ব্যাপারে আল-আমিনের পিতা নুর ইসলাম বাদী হয়ে ঘাতক নাসিম হোসেন (১৫) সহ অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ করেই নাসিম ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল-আলামিনের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সহপাঠীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও তীব্র আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আল-আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।তাকে আই, সি, ইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শরীরের কয়েকটি স্থানে অস্ত্র পাচার করা হয়েছে। সে এখনো সংকটা পণ্ন অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রোববার জেলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়। সমাবেশে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি স্কুল ক্যাম্পাসে সহিংসতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা। শিক্ষার্থীরা বিকাল ২টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরো সময় জুড়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, ইমরানুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী এবং ডিমলা থানার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ পরিতোষ চন্দ্র রায়।
উপজেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে শিক্ষার্থী নাসিম হোসেনের বাবা নুর ইসলামকে আর্থিক সহযোগিতা করেন
ডিমলা থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মো, রাব্বি (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাব্বি বাবুর হাট গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। মূল আসামি সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ দিকে নৃশংস এই ঘটনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।













