ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ শিক্ষার্থীদের

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করা হবে

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত থাকা সিন্ডিকেটের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তী সময়ে হল খোলার পর মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে। বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সিন্ডিকেট।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন, দফায় দফায় সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ প্রেক্ষাপটে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। গত সোমবার শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর গতকাল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরকার-সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে কোথাও কোথাও। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে তিনজন, রাজধানীতে দুজন ও রংপুরে একজন, অর্থাৎ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা চার শতাধিক।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল বিকেলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০১:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

 

মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করা হবে

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত থাকা সিন্ডিকেটের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তী সময়ে হল খোলার পর মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে। বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সিন্ডিকেট।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন, দফায় দফায় সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ প্রেক্ষাপটে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। গত সোমবার শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর গতকাল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরকার-সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে কোথাও কোথাও। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে তিনজন, রাজধানীতে দুজন ও রংপুরে একজন, অর্থাৎ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা চার শতাধিক।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল বিকেলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।