ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তাড়াইল বাজারের ড্রেনে যেন ময়লার ভাগাড়, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

রাজু শিকদার, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ৭৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারাদেশে যখন ডেঙ্গু আতঙ্ক। গত বছর ডেঙ্গুতে দেশে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে গত কয়েকদিন ধরে সর্বত্রই বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনের বেলায়ও রেহাই মিলছে না মশার কবল থেকে। বর্তমানে মশার উপদ্রব নিয়ে উপজেলাবাসী দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, তাড়াইল উপজেলাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকার বিভিন্ন পুকুর, ডোবা, ড্রেনগুলি মশা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। উপজেলা সদর বাজারের প্রতিটি ড্রেনে ময়লার স্তূপ জমে পানি আটকে আছে। দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকার ফলে সেখানে অসংখ্য মশা জন্ম নিচ্ছে। তাছাড়া বাজারের বিভিন্ন ড্রেনে দীর্ঘদিন পানি আটকে থেকে সেখানেও যেন মশার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার পর এখনও মশা নিধনে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাজার কর্তৃপক্ষ।
তাড়াইল সদর বাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়লে তো এবার নিস্তার নেই। মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিন দিয়ে রাস্তার ওপর, ড্রেনে ও বিভিন্ন পুকুরে ওষুধ দিতে হবে। তারা আরও বলেন, এ বছর মশার কামড়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে টিকতে পারছি না।
তাড়াইল উপজেলার সচেতন মহল বলেন, এ বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং করা প্রয়োজন। তাছাড়া ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওষুধ দেওয়া অতীব জরুরি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তাড়াইল বাজারের ড্রেনে যেন ময়লার ভাগাড়, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

আপডেট সময় :

সারাদেশে যখন ডেঙ্গু আতঙ্ক। গত বছর ডেঙ্গুতে দেশে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে গত কয়েকদিন ধরে সর্বত্রই বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনের বেলায়ও রেহাই মিলছে না মশার কবল থেকে। বর্তমানে মশার উপদ্রব নিয়ে উপজেলাবাসী দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, তাড়াইল উপজেলাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকার বিভিন্ন পুকুর, ডোবা, ড্রেনগুলি মশা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। উপজেলা সদর বাজারের প্রতিটি ড্রেনে ময়লার স্তূপ জমে পানি আটকে আছে। দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকার ফলে সেখানে অসংখ্য মশা জন্ম নিচ্ছে। তাছাড়া বাজারের বিভিন্ন ড্রেনে দীর্ঘদিন পানি আটকে থেকে সেখানেও যেন মশার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার পর এখনও মশা নিধনে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাজার কর্তৃপক্ষ।
তাড়াইল সদর বাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়লে তো এবার নিস্তার নেই। মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিন দিয়ে রাস্তার ওপর, ড্রেনে ও বিভিন্ন পুকুরে ওষুধ দিতে হবে। তারা আরও বলেন, এ বছর মশার কামড়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে টিকতে পারছি না।
তাড়াইল উপজেলার সচেতন মহল বলেন, এ বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং করা প্রয়োজন। তাছাড়া ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওষুধ দেওয়া অতীব জরুরি।