ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিতাসে ফুলকুঁড়ি ক্যাডেট স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ Logo মনোহরগঞ্জে জামায়াতের শোডাউন Logo মুন্সীগঞ্জের গণসংযোগ, ভোটাদের মাঝে উৎসবের আমেজ Logo ধুনটে চোখ উপড়ে ও কান কেটে হত্যা, খেতে লাশ উদ্ধার Logo শিক্ষকদের স্বপ্ন প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে কেশবপুরে মতবিনিময় সভা Logo সুন্দরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু Logo তালুক ফলগাছা আঃ রহিম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সাহায্যের আবেদন Logo গর্জনিয়া–কচ্ছপিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাস দমনে নতুন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ: আইসি শোভন কুমারের নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে সীমান্ত জনপদ Logo গোলাপগঞ্জে এম এইচ মিলাদ মেধা বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা সেবা: দেখার কেউ নেই

তালুক ফলগাছা আঃ রহিম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সাহায্যের আবেদন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তালুক ফলগাছা আব্দুর রহিম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা।
ধর্মীয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসা এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে টিকে থাকার লড়াই করছে। অর্থসংকট, জরাজীর্ণ টিনসেড ঘর, শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন না পাওয়া ও সময় মত শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহ সহ সব মিলিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানা টি এখন মারাত্মক সংকটে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি সাজেদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দীর্ঘ ৭বছর হতে আমরা এই মাদ্রাসা ও এতিয়খানা টি পরিচালনা করে আসছি। এখানে অনেক এতিম সন্তান আছে যাদের মা,বাবা কেউ নেই। তাদের যাবতীয় খরচ আমরা প্রদান করে থাকি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি চালাবে অর্থসংকটে পড়েছি। যারা দেশে, বিদেশে ও স্থানীয় অর্থবান রয়েছেন, তারা আমাদের এই মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করবেন। যাতে করে সুন্দর ও শৃঙ্খলার সহিত চালাতে পারি।
জমিদাতা মৃত আ: রহিম সরদারের ছেলে, আনিছুর সরদার বলেন, আমার বাবা প্রায় ৩৯ শতাংশ জমি এই মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য দান করেন। তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটি আগলে রেখেছিলেন। বর্তমানে আমরা এলাকাবাসী স্বপ্ল আয়ের মানুষেরা সকলে মিলেমিশে ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই দেশবাসীর কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করবেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী তোজাম্মেল হক বলেন, গ্রামের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা এই মাদরাসায় পড়াশোনা করে। আপনারা প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করলে স্বাভাবিক চালাতে সক্ষম হবে। এভাবে কতদিন চলবে তা নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।
দায়িত্বরত শিক্ষক হাফেজ মো. জিহাদ প্রধান ও এস এম মোর্শেদুল আখতার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিয়মিত বেতন দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটিই গ্রামের ধর্মীয় শিক্ষার প্রধান ভরসা। সময়মতো সহায়তা না পেলে মাদরাসার টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে। উপজেলা প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই।
এতিম শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমার বাবা,মা কেউ নেই এখানে পড়াশোনা করি। অর্থের অভাবে আমাদের এতিমখানায় খুব সমস্য হচ্ছে। সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসলে, আমরা আরো ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারব।
আর্থিক সহযোগীতা পাঠাতে যোগাযোগ করুণ, তালুক ফলগাছা আঃ রহিম হাফেজিয়া মাদ্রসা ও এতিমখানা’র, চলতি ব্যাংক হিসাব নম্বর: ০১০০২৭৩৯৫৭৬৩৯, জনতা ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড, ০৩৭৩, বামনডাঙ্গা শাখা, গাইবান্ধা।
শিক্ষক হাফেজ জিহাদ, ০১৭৬২-৮৩৫৭৯২ (নগদ) তোজাম্মেল হক, ০১৭১৮-৫৬৮০৬২ (বিকাশ)।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে মাদ্রাসার সংকট অনেকটাই কেটে যাবে, ইনশাল্লাহ্।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তালুক ফলগাছা আঃ রহিম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সাহায্যের আবেদন

আপডেট সময় :

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তালুক ফলগাছা আব্দুর রহিম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা।
ধর্মীয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসা এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে টিকে থাকার লড়াই করছে। অর্থসংকট, জরাজীর্ণ টিনসেড ঘর, শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন না পাওয়া ও সময় মত শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহ সহ সব মিলিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানা টি এখন মারাত্মক সংকটে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি সাজেদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দীর্ঘ ৭বছর হতে আমরা এই মাদ্রাসা ও এতিয়খানা টি পরিচালনা করে আসছি। এখানে অনেক এতিম সন্তান আছে যাদের মা,বাবা কেউ নেই। তাদের যাবতীয় খরচ আমরা প্রদান করে থাকি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি চালাবে অর্থসংকটে পড়েছি। যারা দেশে, বিদেশে ও স্থানীয় অর্থবান রয়েছেন, তারা আমাদের এই মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করবেন। যাতে করে সুন্দর ও শৃঙ্খলার সহিত চালাতে পারি।
জমিদাতা মৃত আ: রহিম সরদারের ছেলে, আনিছুর সরদার বলেন, আমার বাবা প্রায় ৩৯ শতাংশ জমি এই মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য দান করেন। তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটি আগলে রেখেছিলেন। বর্তমানে আমরা এলাকাবাসী স্বপ্ল আয়ের মানুষেরা সকলে মিলেমিশে ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই দেশবাসীর কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করবেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী তোজাম্মেল হক বলেন, গ্রামের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা এই মাদরাসায় পড়াশোনা করে। আপনারা প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করলে স্বাভাবিক চালাতে সক্ষম হবে। এভাবে কতদিন চলবে তা নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।
দায়িত্বরত শিক্ষক হাফেজ মো. জিহাদ প্রধান ও এস এম মোর্শেদুল আখতার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিয়মিত বেতন দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটিই গ্রামের ধর্মীয় শিক্ষার প্রধান ভরসা। সময়মতো সহায়তা না পেলে মাদরাসার টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে। উপজেলা প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই।
এতিম শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমার বাবা,মা কেউ নেই এখানে পড়াশোনা করি। অর্থের অভাবে আমাদের এতিমখানায় খুব সমস্য হচ্ছে। সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসলে, আমরা আরো ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারব।
আর্থিক সহযোগীতা পাঠাতে যোগাযোগ করুণ, তালুক ফলগাছা আঃ রহিম হাফেজিয়া মাদ্রসা ও এতিমখানা’র, চলতি ব্যাংক হিসাব নম্বর: ০১০০২৭৩৯৫৭৬৩৯, জনতা ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড, ০৩৭৩, বামনডাঙ্গা শাখা, গাইবান্ধা।
শিক্ষক হাফেজ জিহাদ, ০১৭৬২-৮৩৫৭৯২ (নগদ) তোজাম্মেল হক, ০১৭১৮-৫৬৮০৬২ (বিকাশ)।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে মাদ্রাসার সংকট অনেকটাই কেটে যাবে, ইনশাল্লাহ্।