ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

তিন সন্তানের জননী নিখোঁজ, দোকান কর্মচারী উধাও!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর গ্রামে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিন সন্তানের জননী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন, একইসঙ্গে নিখোঁজ তার স্বামীর দোকানের কর্মচারীও। ঘর থেকে উধাও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঁশডর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মো. দুলাল মিয়া প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার মেয়ে রোকসানা বেগম (২৫)-এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসার ভালোই চলছিলো।
কিছুদিন আগে দোকানের কাজের সুবিধার জন্য দুলাল মিয়া কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন গ্রামেরই মেহেদী হাসান অপু (২২), সে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
পরবর্তীতে অপু ধীরে ধীরে অপু ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে এবং রোকসানার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুলাল মিয়া জানান, “আমার স্ত্রী কয়েকবার জানায় অপু তাকে কু-প্রস্তাব দেয় এবং অশোভন আচরণ করে। আমি তাকে সাবধান করি। কিন্তু ১২ অক্টোবর রাতে আমি ও বড় ছেলে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে রোকসানা বেগম বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, দামী মোবাইল ও কাপড়চোপড় নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। একই রাতে কর্মচারী অপুও উধাও হয়।”
পরের দিন সকাল পর্যন্ত স্ত্রী ও কর্মচারী কারও সন্ধান না পেয়ে তিনি আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হন। পরে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।”
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিন সন্তানের জননী নিখোঁজ, দোকান কর্মচারী উধাও!

আপডেট সময় :

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর গ্রামে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিন সন্তানের জননী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন, একইসঙ্গে নিখোঁজ তার স্বামীর দোকানের কর্মচারীও। ঘর থেকে উধাও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঁশডর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মো. দুলাল মিয়া প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার মেয়ে রোকসানা বেগম (২৫)-এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসার ভালোই চলছিলো।
কিছুদিন আগে দোকানের কাজের সুবিধার জন্য দুলাল মিয়া কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন গ্রামেরই মেহেদী হাসান অপু (২২), সে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
পরবর্তীতে অপু ধীরে ধীরে অপু ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে এবং রোকসানার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুলাল মিয়া জানান, “আমার স্ত্রী কয়েকবার জানায় অপু তাকে কু-প্রস্তাব দেয় এবং অশোভন আচরণ করে। আমি তাকে সাবধান করি। কিন্তু ১২ অক্টোবর রাতে আমি ও বড় ছেলে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে রোকসানা বেগম বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, দামী মোবাইল ও কাপড়চোপড় নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। একই রাতে কর্মচারী অপুও উধাও হয়।”
পরের দিন সকাল পর্যন্ত স্ত্রী ও কর্মচারী কারও সন্ধান না পেয়ে তিনি আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হন। পরে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।”
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।