ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দাউদকান্দিতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, খুশিতে ভরপুর কৃষকরা

সাদ্দাম হোসেন, (কুমিল্লা উত্তর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৭১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এবার বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকা এবং স্থানীয় জাতের বীজ ব্যবহারের কারণে কৃষকরা পেয়েছেন আশাতীত ফলন। বাজারে চাহিদা ও ন্যায্য মূল্য থাকায় কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ ও উৎসাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দির ভেলানগর ও আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রায় দুই শতাধিক বছর ধরে বাঙ্গি ও তরমুজের চাষ হয়ে আসছে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে তরমুজের ফলন কম হওয়ায় এখন কৃষকরা বাঙ্গি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ভেলানগরের চাষি পারভীন বেগম জানান, তিনি ৯০ শতক জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছেন, যেখানে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। প্রথম দিনেই তিনি ১১৭টি বাঙ্গি ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন আরও ২০-৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবেন।
চাষি আবু তাহের মোল্লা বলেন, প্রথম কাটায় বাঙ্গির দাম পেয়েছেন ১৪০-১৫০ টাকা করে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাটায় দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে, দীর্ঘদিনের পাইকারি ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া জানান, ৫-৬ কেজির বাঙ্গি ২০০ টাকায় কিনে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়া ৩-৪ কেজির বাঙ্গি ১৫০-২০০ এবং ২-৩ কেজির বাঙ্গি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন।
এসব বাঙ্গি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাওরান বাজার, কুমিল্লা ও দাউদকান্দির বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ বছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভেলানগর মাঠে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাবিহ উল্লাহ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জৈব সার ব্যবহারে বাঙ্গির গুণগত মান ও আকার উভয়ই ভালো হয়েছে। কৃষি অফিসের নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকিতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাউদকান্দিতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, খুশিতে ভরপুর কৃষকরা

আপডেট সময় :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এবার বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকা এবং স্থানীয় জাতের বীজ ব্যবহারের কারণে কৃষকরা পেয়েছেন আশাতীত ফলন। বাজারে চাহিদা ও ন্যায্য মূল্য থাকায় কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ ও উৎসাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দির ভেলানগর ও আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রায় দুই শতাধিক বছর ধরে বাঙ্গি ও তরমুজের চাষ হয়ে আসছে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে তরমুজের ফলন কম হওয়ায় এখন কৃষকরা বাঙ্গি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ভেলানগরের চাষি পারভীন বেগম জানান, তিনি ৯০ শতক জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছেন, যেখানে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। প্রথম দিনেই তিনি ১১৭টি বাঙ্গি ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন আরও ২০-৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবেন।
চাষি আবু তাহের মোল্লা বলেন, প্রথম কাটায় বাঙ্গির দাম পেয়েছেন ১৪০-১৫০ টাকা করে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাটায় দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে, দীর্ঘদিনের পাইকারি ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া জানান, ৫-৬ কেজির বাঙ্গি ২০০ টাকায় কিনে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়া ৩-৪ কেজির বাঙ্গি ১৫০-২০০ এবং ২-৩ কেজির বাঙ্গি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন।
এসব বাঙ্গি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাওরান বাজার, কুমিল্লা ও দাউদকান্দির বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ বছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভেলানগর মাঠে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাবিহ উল্লাহ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জৈব সার ব্যবহারে বাঙ্গির গুণগত মান ও আকার উভয়ই ভালো হয়েছে। কৃষি অফিসের নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকিতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন।