ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

দিনাজপুরে চাঁদা না পেয়ে দোকান লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুর ব্যুরো প্রধান
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে

0-3840x2174-0-0#

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় চাঁদাবাজদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় একটি দোকান লুটপাত করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. মোকতার আলী ফয়সল (৬০)। আজ শনিবার বেলা ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী মো. মোকতার আলী ফয়সর (৬০) দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন মির্জাপুর-বাস-টার্মিনাল এলাকায় বিসমিল্লাহ হোটেল সংলগ্ন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “সপ্লিল স্টোর” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রহিয়াছে যাহা আমি ও আমার ছেলে মোঃ ইখতিয়ার আহম্মেদ এর মাধ্যমে পরিচালনা করি। ফকিরপাড়ার মৃত নছিরের ছেলে মোঃ লোকমান আলী (৫৫), মির্জাপুরের (ছোট গুড়গোলা মোড়) মোঃ রবিউল (বাবলু) ছেলে ও কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ স্বপন (৪৩), ফকিরপাড়ার এলাকার মোঃ লোকমান আলীর ছেলে ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নবাব (৩৫) ও মির্জাপুর (কালুর মোড়) এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জন আমার ছেলের কাছে চাঁদা চেয়ে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করত ও হুমকী দিয়ে আসছে। এই অবস্থায় গত ২৮ জুলাই রাত ১১টার সময় আমার ছেলে দোকান করে দোকানের সামনে দাড়ালে তারা আমার ছেলের কাছে এসে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালা ও ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমার ছেলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মোঃ নবাব ও মোঃ সাইফুল ইসলাম আমার ছেলের দুই হাত চেপে ধরে তার পকেটে থাকা দোকানের চাবি জোরপূর্বক নিয়ে দোকান তালা খুলে। পরে তারা দোকানে অন্য তালা মেরে দেয়। তাদের হাতে ছোরা-চাকু থাকায় আমার ছেলে নিজেও প্রাণের ভয়ে কোন চিৎকার করিতে পারে নাই। এমনকি সাক্ষী মোঃ হাসান আলীও প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করিতে পারে না। পরে মোঃ লোকমান আলী আমার ছেলেকে বলে যে, “আমাদের সাথে ভাড়া ডিড কর, তাছাড়া তুমি এখানে ব্যবসা করতে পারবে না।” উক্ত সময় ২নং ব্যক্তি বলে যে, “আমাদের সাথে ডিড কর এবং মাসে মাসে আমাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে এখানে শান্তিতে দোকানদারী করতে পারবে, নইলে এই দোকানের আশপাশে আসতে পারবে না, আশপাশে দেখলে তোমার বুকে পা তুলে দিয়ে তোমাকে মেরে ফেলব।” বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে আরও দোকানদার সাক্ষী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মাহাবুবুল হক হেলাল, মোঃ গুলজার হোসেন মোঃ হারুণ-অর-রশিদ (বাবু) গণ সহ আরও অনেকে। উক্ত ব্যক্তিরা অত্যন্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় ঘটনার পর সাক্ষীগণ ব্যক্তিদের সাথে মীমাংসা করিয়া নেওয়ার জন্য আমাকে পরামর্শ দেন। বর্ণিত ঘটনার বিষয় আমি উক্ত রাতেই আমার ছেলের মুখে শুনিয়া রাতেই ঘটনাস্থলে যাইয়া সাক্ষীদের মুখেও ঘটনার বিস্তারিত শুনি এবং আমার দোকানঘরে ব্যক্তিদের লাগানো তালা দেখিতে পাই। সাক্ষীদের পরামর্শ মতে মীমাংসার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করিলে সকল ব্যক্তিদের চাহিদা ৩ লক্ষ টাকা দিতে না পারিয়া মীমাংসা করিতে ব্যর্থ হইয়াছি। উক্ত ব্যক্তিরা মীমাংসা করিবে বলিয়া আমাকে আশ্বস্ত করার মাধ্যমে কাল ক্ষেপন করিতে করিতে মীমাংসা না হইলে গত ১৪ আগষ্ট দুপুর অনুমান ১২ টা থেকে সাড়ে ১২টার সময় উপরোক্ত সকল ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার দোকানে রক্ষিত ৩টি ফ্রিজ এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ও মালামাল সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পদ লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যায়। আমি এব্যাপারে দিনাজপবুর কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দিনাজপুরে চাঁদা না পেয়ে দোকান লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় চাঁদাবাজদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় একটি দোকান লুটপাত করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. মোকতার আলী ফয়সল (৬০)। আজ শনিবার বেলা ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী মো. মোকতার আলী ফয়সর (৬০) দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন মির্জাপুর-বাস-টার্মিনাল এলাকায় বিসমিল্লাহ হোটেল সংলগ্ন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “সপ্লিল স্টোর” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রহিয়াছে যাহা আমি ও আমার ছেলে মোঃ ইখতিয়ার আহম্মেদ এর মাধ্যমে পরিচালনা করি। ফকিরপাড়ার মৃত নছিরের ছেলে মোঃ লোকমান আলী (৫৫), মির্জাপুরের (ছোট গুড়গোলা মোড়) মোঃ রবিউল (বাবলু) ছেলে ও কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ স্বপন (৪৩), ফকিরপাড়ার এলাকার মোঃ লোকমান আলীর ছেলে ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নবাব (৩৫) ও মির্জাপুর (কালুর মোড়) এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জন আমার ছেলের কাছে চাঁদা চেয়ে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করত ও হুমকী দিয়ে আসছে। এই অবস্থায় গত ২৮ জুলাই রাত ১১টার সময় আমার ছেলে দোকান করে দোকানের সামনে দাড়ালে তারা আমার ছেলের কাছে এসে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালা ও ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমার ছেলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মোঃ নবাব ও মোঃ সাইফুল ইসলাম আমার ছেলের দুই হাত চেপে ধরে তার পকেটে থাকা দোকানের চাবি জোরপূর্বক নিয়ে দোকান তালা খুলে। পরে তারা দোকানে অন্য তালা মেরে দেয়। তাদের হাতে ছোরা-চাকু থাকায় আমার ছেলে নিজেও প্রাণের ভয়ে কোন চিৎকার করিতে পারে নাই। এমনকি সাক্ষী মোঃ হাসান আলীও প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করিতে পারে না। পরে মোঃ লোকমান আলী আমার ছেলেকে বলে যে, “আমাদের সাথে ভাড়া ডিড কর, তাছাড়া তুমি এখানে ব্যবসা করতে পারবে না।” উক্ত সময় ২নং ব্যক্তি বলে যে, “আমাদের সাথে ডিড কর এবং মাসে মাসে আমাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে এখানে শান্তিতে দোকানদারী করতে পারবে, নইলে এই দোকানের আশপাশে আসতে পারবে না, আশপাশে দেখলে তোমার বুকে পা তুলে দিয়ে তোমাকে মেরে ফেলব।” বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে আরও দোকানদার সাক্ষী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মাহাবুবুল হক হেলাল, মোঃ গুলজার হোসেন মোঃ হারুণ-অর-রশিদ (বাবু) গণ সহ আরও অনেকে। উক্ত ব্যক্তিরা অত্যন্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় ঘটনার পর সাক্ষীগণ ব্যক্তিদের সাথে মীমাংসা করিয়া নেওয়ার জন্য আমাকে পরামর্শ দেন। বর্ণিত ঘটনার বিষয় আমি উক্ত রাতেই আমার ছেলের মুখে শুনিয়া রাতেই ঘটনাস্থলে যাইয়া সাক্ষীদের মুখেও ঘটনার বিস্তারিত শুনি এবং আমার দোকানঘরে ব্যক্তিদের লাগানো তালা দেখিতে পাই। সাক্ষীদের পরামর্শ মতে মীমাংসার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করিলে সকল ব্যক্তিদের চাহিদা ৩ লক্ষ টাকা দিতে না পারিয়া মীমাংসা করিতে ব্যর্থ হইয়াছি। উক্ত ব্যক্তিরা মীমাংসা করিবে বলিয়া আমাকে আশ্বস্ত করার মাধ্যমে কাল ক্ষেপন করিতে করিতে মীমাংসা না হইলে গত ১৪ আগষ্ট দুপুর অনুমান ১২ টা থেকে সাড়ে ১২টার সময় উপরোক্ত সকল ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার দোকানে রক্ষিত ৩টি ফ্রিজ এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ও মালামাল সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পদ লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যায়। আমি এব্যাপারে দিনাজপবুর কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।