ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই ঢাকামুখো জনস্রোত

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি ফুরালো গতকাল শনিবার। আজ রোববার থেকে অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সংস্থাসমূহে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। ফের রাজধানী ঢাকা ফিরবে তার পুরানো চেহায়। এবারে টানা ছুটি শেষ হবার দু’একদিন আগে যারা ঢাকায় ফিরেছেন, তারা কোন রকমের বিড়ম্বনা ছাড়াই স্বস্তিতে পৌছেছেন। অপর দিকে পুরোদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। আগামী ২৪ জুন থেকে স্কুল এবং ২৬ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। ঈদের টানা ছুটি শেষে ঢাকামুখো যাত্রায় সবচেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, উত্তর জনপদের মানুষদের। শুক্রবার রাতে রওনা দিয়ে অনেকেই শনিবার দুপুরেও ঢাকার নিজ বাসায় ফিরতে পারেননি। সিরাজগঞ্জ থেকেই যানজটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট আটকা পড়ে শ’ শ’ যানবাহন।
যমুনা সেতুর কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে চলেছে ৩০ হাজার ৮১৭টি এবং ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। শনিবার সকাল থেকেই যমুনা সেতুর পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকায় ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নলকা সেতু থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের কারণে আটকা পড়া যানবাহনের যাত্রীদের বিশেষ নারী-শিশুদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সেতু পরিবহনের কর্মী আবদুল আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে জানান, দিবাগত রাত ১টার দিকে পীরগাছা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে উড়ালসড়কে যানজটে যখন পৌছান, তখন তার সামনে রম্বা যানজট! কখন ঢাকায় পৌঁছানো যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি এই পরিবহন কর্মী। মহাসড়কে ঢাকামুখো অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে বগুড়া থেকেই গাড়ি ধীরগতিতে চলতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে যানজটের তীব্রতা বেড়ে নলকা সেতু পার হওয়ার পর তা প্রকট আকার ধারণ করে।
সড়ক-মহাসড়কে দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হলো একসঙ্গে সকল অফিস-আদালত, শিল্পাঞ্চলে কর্মীদের ছুটে আসা। অন্যান্য ঈদ মৌসুমে পোষাক কারখানায় ঈদের ছুটি আগে পরে হতো। সবার ছুটির সঙ্গে মেলানো হতো না। যেমন ঈদের একদিন আগে পোষাক কারখানায় ছুটি হলে, পোষাক কারখানার কর্মীরা কাজে যোগ দিতেন এক দুইদিন পর। তাতে ঈদে বাড়ি যাওয়া এবং ফিরে আসার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হতো। মহাসড়কে যানজট হতো কম। যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঈদের ছুটির শেষ দিনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ জানান, সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে, কিছুটা ধীরগতি দেখা দিলেও কোথাও কোথাও সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে মাছে নামে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই ঢাকামুখো জনস্রোত

আপডেট সময় : ১০:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি ফুরালো গতকাল শনিবার। আজ রোববার থেকে অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সংস্থাসমূহে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। ফের রাজধানী ঢাকা ফিরবে তার পুরানো চেহায়। এবারে টানা ছুটি শেষ হবার দু’একদিন আগে যারা ঢাকায় ফিরেছেন, তারা কোন রকমের বিড়ম্বনা ছাড়াই স্বস্তিতে পৌছেছেন। অপর দিকে পুরোদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। আগামী ২৪ জুন থেকে স্কুল এবং ২৬ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। ঈদের টানা ছুটি শেষে ঢাকামুখো যাত্রায় সবচেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, উত্তর জনপদের মানুষদের। শুক্রবার রাতে রওনা দিয়ে অনেকেই শনিবার দুপুরেও ঢাকার নিজ বাসায় ফিরতে পারেননি। সিরাজগঞ্জ থেকেই যানজটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট আটকা পড়ে শ’ শ’ যানবাহন।
যমুনা সেতুর কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে চলেছে ৩০ হাজার ৮১৭টি এবং ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। শনিবার সকাল থেকেই যমুনা সেতুর পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকায় ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নলকা সেতু থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের কারণে আটকা পড়া যানবাহনের যাত্রীদের বিশেষ নারী-শিশুদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সেতু পরিবহনের কর্মী আবদুল আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে জানান, দিবাগত রাত ১টার দিকে পীরগাছা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে উড়ালসড়কে যানজটে যখন পৌছান, তখন তার সামনে রম্বা যানজট! কখন ঢাকায় পৌঁছানো যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি এই পরিবহন কর্মী। মহাসড়কে ঢাকামুখো অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে বগুড়া থেকেই গাড়ি ধীরগতিতে চলতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে যানজটের তীব্রতা বেড়ে নলকা সেতু পার হওয়ার পর তা প্রকট আকার ধারণ করে।
সড়ক-মহাসড়কে দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হলো একসঙ্গে সকল অফিস-আদালত, শিল্পাঞ্চলে কর্মীদের ছুটে আসা। অন্যান্য ঈদ মৌসুমে পোষাক কারখানায় ঈদের ছুটি আগে পরে হতো। সবার ছুটির সঙ্গে মেলানো হতো না। যেমন ঈদের একদিন আগে পোষাক কারখানায় ছুটি হলে, পোষাক কারখানার কর্মীরা কাজে যোগ দিতেন এক দুইদিন পর। তাতে ঈদে বাড়ি যাওয়া এবং ফিরে আসার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হতো। মহাসড়কে যানজট হতো কম। যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঈদের ছুটির শেষ দিনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ জানান, সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে, কিছুটা ধীরগতি দেখা দিলেও কোথাও কোথাও সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে মাছে নামে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ।