ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশজুড়ে সংঘর্ষে ১৩ জনের মৃত্যু

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে

উত্তরায় পুলিশের গুলিতে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ ) ডিপার্টমেন্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী পারভেজ শাকিল নিহত হয়েছেন।

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

 

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত এ সংবাদ পাওয়া যায়।
ঢাকায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৮ জন এবং সাভার, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম ও নরসিংদীতে দুই মারা গেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা রসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ মারা গেছে।

কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের ডাকা শাটডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সংঘাত-সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তাতে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।  উত্তরায় পুলিশের গুলিতে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ ) ডিপার্টমেন্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী পারভেজ শাকিল নিহত হয়েছেন।

উত্তরায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে চারজনের মরদেহ রয়েছে। এদের দুজন শিক্ষার্থী। দুজনের সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এর আগে উত্তরায় পুলিশ-র‌্যাব এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন মারা যায়। এদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং অপরজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যায়। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।

সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জন এবং ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক পথচারী, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। এ নিয়ে গত দুই দিনে মোট ১৮  জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির জেরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

হাসপাতাল, সংবাদমাধ্যম এবং জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সমস্ত বেসরকারি দফতর, দোকান-বাজার বন্ধ ছিলো। সকাল থেকেই আন্দোলকারীদের দখলে ছিলো রাজপথ। আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে সারাদেশে ২২৬ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। ব্যস্ততমস ঢাকায় সীমিত যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল আন্দোলন যখন তুঙ্গে এবং বৃহস্পতিবার যখন ১০ জন নিহত খবর আসে, তখন সরকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে এবং শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। যেকোন মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে রাজি তারা। আগামী রবিবার উচ্চ আদালতে কোটা নিয়ে রায়ের দিন এগিয়ে আনতে অ্যাটর্নী জেলারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও আলোচনায় বসতে রাজি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশজুড়ে সংঘর্ষে ১৩ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

 

 

 

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত এ সংবাদ পাওয়া যায়।
ঢাকায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৮ জন এবং সাভার, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম ও নরসিংদীতে দুই মারা গেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা রসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ মারা গেছে।

কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের ডাকা শাটডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সংঘাত-সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তাতে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।  উত্তরায় পুলিশের গুলিতে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ ) ডিপার্টমেন্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী পারভেজ শাকিল নিহত হয়েছেন।

উত্তরায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে চারজনের মরদেহ রয়েছে। এদের দুজন শিক্ষার্থী। দুজনের সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এর আগে উত্তরায় পুলিশ-র‌্যাব এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন মারা যায়। এদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং অপরজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যায়। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।

সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জন এবং ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক পথচারী, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। এ নিয়ে গত দুই দিনে মোট ১৮  জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির জেরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

হাসপাতাল, সংবাদমাধ্যম এবং জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সমস্ত বেসরকারি দফতর, দোকান-বাজার বন্ধ ছিলো। সকাল থেকেই আন্দোলকারীদের দখলে ছিলো রাজপথ। আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে সারাদেশে ২২৬ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। ব্যস্ততমস ঢাকায় সীমিত যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল আন্দোলন যখন তুঙ্গে এবং বৃহস্পতিবার যখন ১০ জন নিহত খবর আসে, তখন সরকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে এবং শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। যেকোন মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে রাজি তারা। আগামী রবিবার উচ্চ আদালতে কোটা নিয়ে রায়ের দিন এগিয়ে আনতে অ্যাটর্নী জেলারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও আলোচনায় বসতে রাজি।