ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টেকসই পোশাক খাত গড়তে ১৪ দফা ইশতেহার ফোরামের Logo মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান Logo আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ Logo রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ  ৫ ডাকাত  সদস্য গ্রেফতার Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন Logo টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি Logo ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী খামারিদের মাঝে ছাগল , মুরগি সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ  Logo নালিতাবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মদ সহ নাছিরকে গ্রেফতার Logo ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গণধোলাই দিল ছাত্রজনতা Logo গোমস্তাপুর উপজেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি

দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিক ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা

স্টাফ রিপোর্টার 
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার গাইবান্ধা প্রতিনিধি এম সাদ্দাম হোসেন পবন ও কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্রের নেতা মিলন মিয়া। দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে এই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় জড়ানো হয়েছে। গত ২১ মে বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয়। সুন্দরগঞ্জ থানার মামলা নাম্বার ৩৫/১৭৩,২০২৫ এমন মিথ্যা মামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও  এলাকার জনগন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য মো. ছদরুল কবির আঙ্গুর,ইসলামী আন্দোলনের নেতা মো. মাজু আহমেদ,অরাজনৈতিক ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম আউয়াল, জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের নেতা মো. মমিন মিয়া। এজাহার সূত্র থেকে জানাগেছে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় শ্রীপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়ার কাছে এজাহার নামীয় আসামীরা তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ঘটনার ৫ মাস পর অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার অনুসন্ধানের তথ্য ও এলাকাবাসী বলছে, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়া গাইবান্ধা সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় ঘটনার ওই দিন ৩০ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখে সকাল সাড়ে দশটার সময় ব্লাকহেড দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করার কালে আনুমানিক পাঁচ-ছয় হাজার সাধারন ছাত্র-জনতা গিয়ে অবৈধ বালু ভর্তি ব্লাকহেট আটক করে এবং অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর হামলায় ছাত্র-জনতার মধ্যে ৮ জন আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে আটককৃত অবৈধ বালু ভর্তি ব্লাকহেড দুটি কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধা সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট গ্রাম বেষ্টিত ব্রম্মপুত্র নদ থেকে ব্লাকহেড দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বলায় কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রাম পুলিশদের উপর অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়া সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশদের দফাদার মো. টুকু মিয়া বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এতো সব ঘটনার পরেও প্রশাসন অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়াকে গ্রেফতার না করার ফলে একের পর এক সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্রের হোতা মিলন মিয়া ও রানা মিয়া দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু তুলে ব্যবসা করার কারনে নদী ভাঙন তীব্রতা ধারনসহ বালুবাহী গাড়ী চলাচলে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ছাত্র-জনতা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ এবং বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।  কামারজানী বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মো. ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে  সদর থানায় ৩০ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখের ঘটনায় ১৩ জনের নামে অভিযোগ করেন যার মামলা নাম্বার ২/২০২৫ এবং একই ঘটনায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কামারজানী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা জাহান বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অবৈধ বালু ভর্তি ব্লাকহেড জব্দসহ অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়াসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যার মামলা নাম্বার ২১/২০২৫।
একই তারিখ, একই সময় এবং একই ঘটনাস্থল সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট ব্রম্মপুত্র নদের তীরে হলেও ঘটনার ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর মিলন মিয়া নামের কুখ্যাত অবৈধ বালু ব্যবসায়ী বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয়ায় এনিয়ে এলাকার ছাত্র-জনতা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও তার চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং প্রকাশ্যে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করছেন। এমন ঘটনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কামারজানী বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মো. ইকবাল হোসেন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলেও জানাগেছে।  অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন চক্রের মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বিষয়ে দৈনিক গনমুক্তি পত্রিকার গাইবান্ধা প্রতিনিধি এম সাদ্দাম হোসেন পবন বলেন, কামারজানী একটি নদীবেষ্টিত ঐতিহ্যবাহী বন্দর ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। প্রতিনিয়ত মিলন মিয়া ও রানা মিয়াসহ একটি চক্র নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে নদী ভাঙন বৃদ্ধিসহ বালুবাহী পরিবহনের কারনে রাস্তা সাধারণ মানুষের জন্য চলাচল অনুপযোগী এবং পরিবেশগত সমস্যার কারনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করায় সেই সব প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করার ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় আমাকেসহ সাত জন নিরপরাধ সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিকে জড়িয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের নেতা মো: মাজু আহমেদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে সকাল সাড়ে দশটায় কামারজানী এলাকার গোঘাট গ্রাম বেষ্টিত নদী থেকে ব্লাকহেড দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার ঘটনায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ব্লাকহেড দুটি আটক করতে গেলে সাধারণ মানুষের উপর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা হামলা করে অথচ আমাদের সামাজিক গ্রহন যোগ্য ব্যক্তি বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ঘটনার ৫ মাস পর চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা সুন্দরগঞ্জ থানায় করেছে। কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমান বলেন, সাংবাদিকসহ আমাদের সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা আনা হয়েছে যা ষড়যন্ত্র ও হয়রানির উদ্দেশ্য কেন্দ্রীক। এ ধরনের মামলা অত্যন্ত নিন্দাজনক এবং ব্যক্তি আক্রোশপ্রসূত।
 মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, মামলার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। একই তারিখ এবং একই সময়ে ঘটনাস্থল গাইবান্ধা সদরে সরকার বাদিসহ অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন ও রানাগং দের নামে দুটি মামলা রুজু হয় এবং এর ৫ মাস পর একই ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওই মামলা দুটির কাগজপত্র আমাদের কাছে দেয়া হলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
 এক প্রশ্নের জবাবে অফিসার ইনচার্জ বলেন,চাঁদাবাজির মামলায় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিকের নাম থাকার ঘটনাটি আমরা দেখছি।
প্রসঙ্গত: দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার গাইবান্ধা প্রতিনিধি এম সাদ্দাম হোসেন পবন সুদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। এছাড়াও তিনি অরাজনৈতিক,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যক্তিত্ব,স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ (এস,ইউ,পি) এর নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিক ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা

আপডেট সময় : ০১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার গাইবান্ধা প্রতিনিধি এম সাদ্দাম হোসেন পবন ও কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্রের নেতা মিলন মিয়া। দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে এই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় জড়ানো হয়েছে। গত ২১ মে বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয়। সুন্দরগঞ্জ থানার মামলা নাম্বার ৩৫/১৭৩,২০২৫ এমন মিথ্যা মামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও  এলাকার জনগন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য মো. ছদরুল কবির আঙ্গুর,ইসলামী আন্দোলনের নেতা মো. মাজু আহমেদ,অরাজনৈতিক ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম আউয়াল, জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের নেতা মো. মমিন মিয়া। এজাহার সূত্র থেকে জানাগেছে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় শ্রীপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়ার কাছে এজাহার নামীয় আসামীরা তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ঘটনার ৫ মাস পর অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার অনুসন্ধানের তথ্য ও এলাকাবাসী বলছে, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়া গাইবান্ধা সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় ঘটনার ওই দিন ৩০ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখে সকাল সাড়ে দশটার সময় ব্লাকহেড দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করার কালে আনুমানিক পাঁচ-ছয় হাজার সাধারন ছাত্র-জনতা গিয়ে অবৈধ বালু ভর্তি ব্লাকহেট আটক করে এবং অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর হামলায় ছাত্র-জনতার মধ্যে ৮ জন আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে আটককৃত অবৈধ বালু ভর্তি ব্লাকহেড দুটি কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধা সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট গ্রাম বেষ্টিত ব্রম্মপুত্র নদ থেকে ব্লাকহেড দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বলায় কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রাম পুলিশদের উপর অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়া সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশদের দফাদার মো. টুকু মিয়া বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এতো সব ঘটনার পরেও প্রশাসন অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়াকে গ্রেফতার না করার ফলে একের পর এক সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্রের হোতা মিলন মিয়া ও রানা মিয়া দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু তুলে ব্যবসা করার কারনে নদী ভাঙন তীব্রতা ধারনসহ বালুবাহী গাড়ী চলাচলে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ছাত্র-জনতা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ এবং বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।  কামারজানী বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মো. ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে  সদর থানায় ৩০ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখের ঘটনায় ১৩ জনের নামে অভিযোগ করেন যার মামলা নাম্বার ২/২০২৫ এবং একই ঘটনায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কামারজানী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা জাহান বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অবৈধ বালু ভর্তি ব্লাকহেড জব্দসহ অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও রানা মিয়াসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যার মামলা নাম্বার ২১/২০২৫।
একই তারিখ, একই সময় এবং একই ঘটনাস্থল সদরের কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট ব্রম্মপুত্র নদের তীরে হলেও ঘটনার ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর মিলন মিয়া নামের কুখ্যাত অবৈধ বালু ব্যবসায়ী বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয়ায় এনিয়ে এলাকার ছাত্র-জনতা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও তার চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং প্রকাশ্যে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করছেন। এমন ঘটনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কামারজানী বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মো. ইকবাল হোসেন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলেও জানাগেছে।  অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন চক্রের মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বিষয়ে দৈনিক গনমুক্তি পত্রিকার গাইবান্ধা প্রতিনিধি এম সাদ্দাম হোসেন পবন বলেন, কামারজানী একটি নদীবেষ্টিত ঐতিহ্যবাহী বন্দর ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। প্রতিনিয়ত মিলন মিয়া ও রানা মিয়াসহ একটি চক্র নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে নদী ভাঙন বৃদ্ধিসহ বালুবাহী পরিবহনের কারনে রাস্তা সাধারণ মানুষের জন্য চলাচল অনুপযোগী এবং পরিবেশগত সমস্যার কারনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করায় সেই সব প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করার ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় আমাকেসহ সাত জন নিরপরাধ সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিকে জড়িয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের নেতা মো: মাজু আহমেদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে সকাল সাড়ে দশটায় কামারজানী এলাকার গোঘাট গ্রাম বেষ্টিত নদী থেকে ব্লাকহেড দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার ঘটনায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ব্লাকহেড দুটি আটক করতে গেলে সাধারণ মানুষের উপর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা হামলা করে অথচ আমাদের সামাজিক গ্রহন যোগ্য ব্যক্তি বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ঘটনার ৫ মাস পর চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা সুন্দরগঞ্জ থানায় করেছে। কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমান বলেন, সাংবাদিকসহ আমাদের সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা আনা হয়েছে যা ষড়যন্ত্র ও হয়রানির উদ্দেশ্য কেন্দ্রীক। এ ধরনের মামলা অত্যন্ত নিন্দাজনক এবং ব্যক্তি আক্রোশপ্রসূত।
 মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, মামলার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। একই তারিখ এবং একই সময়ে ঘটনাস্থল গাইবান্ধা সদরে সরকার বাদিসহ অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মিলন ও রানাগং দের নামে দুটি মামলা রুজু হয় এবং এর ৫ মাস পর একই ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওই মামলা দুটির কাগজপত্র আমাদের কাছে দেয়া হলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
 এক প্রশ্নের জবাবে অফিসার ইনচার্জ বলেন,চাঁদাবাজির মামলায় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিকের নাম থাকার ঘটনাটি আমরা দেখছি।
প্রসঙ্গত: দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার গাইবান্ধা প্রতিনিধি এম সাদ্দাম হোসেন পবন সুদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। এছাড়াও তিনি অরাজনৈতিক,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যক্তিত্ব,স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ (এস,ইউ,পি) এর নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।