দ্রুততম সময়ে সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না কেন জানালেন:পরিবেশ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৬:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
দ্রুততম সময়ে সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না কেন তা সাংবাদিকদের জানালেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, অকার্যকারিতাগুলো সিস্টেমে ঢুকে পড়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা সারিয়ে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র তিন মাস সময় গেছে। সংস্কার কমিশন হয়েছে, বাকিগুলো আশা করি আজকালকার মধ্যে হয়ে যাবে। সেখানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা তাদের প্রতিবেদন দেবেন। আশা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে উদ্ভিদের লাল তালিকা বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ৷
সাংবাদিকরা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক যে, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইবে। নির্বাচন তো আমরাও চাই।
আপনি কি শুধু নির্বাচন চান, না এই যে চরম আত্মত্যাগটা দেওয়া হলো এটার প্রেক্ষিতে যে সংস্কারের দাবি উঠেছে সেটাও চান। রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু সংস্কারের দাবি অস্বীকার করছে না। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার চাইছে। অকার্যকারিতা যেসব বিষয়ে সিস্টেমে ঢুকে গেছে, এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সারিয়ে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের কথা বলবে কারণ, তাদের যে স্টেক হোল্ডার তাদের কথা বিবেচনা করেই বলে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সংস্কারের কোনো বাধা এসেছে, সেরকমও মনে করছি না।
এটা হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশাটা কীভাবে আমরা অ্যাড্রেস করি তার ওপর নির্ভর করবে এবং এটা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য একটা সুযোগ যে কতগুলো জায়গায় পরিবর্তন আনতেই হবে এবং সেগুলোর ক্ষেত্রে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য করতেই হবে সেই প্রসেসের ভেতর দিয়ে যাব। আমরা নির্বাচন, জুলাই আগস্টের গণহত্যা, নিপীড়ন, অত্যাচারের বিচার, সংস্কার এই এই তিনটাকে প্রাধান্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, তারা খুব একটা অধৈর্য হয়েছে সেরকম তো মনে হচ্ছে না। আমি বলছি সংস্কারের দাবিটা এই সময় কেন এসেছে আমাদের কাছ থেকে এসেছে বলছি না এই সময় কেন এসেছে। তার একটা প্রেক্ষিত আছে জুলাই আগস্টের সেই প্রেক্ষিতকে তো আমরা ভুলে যেতে পারি না।
সেই প্রেক্ষিতে নতুন নির্বাচন দাবি করে হয়নি সেই প্রেক্ষিত একটা বৈষম্যকে অ্যাড্রেস করতে হয়েছে। যেটা পড়ে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য একটা সংস্কারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। কাজেই সেই প্রেক্ষিতটাকে কেউ ভুলে যেতে পারে না।
বৈষম্য দূর করা প্রেক্ষিতটা হচ্ছে সংস্কারের জন্য এবং প্রেক্ষিতটা হচ্ছে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে নির্বাচনের কথা আসবে সংস্কারের ব্যাপারে সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো শুরু করার বিষয়ে আসবে। তাদের প্রতি আমার আহ্বান হবে যে সংস্কারের দাবিটা কিন্তু গণদাবি এবং এখানে একটা রক্তক্ষয়ী প্রেক্ষিত আছে অন্তত এই ক্ষেত্রে আমরা সংস্কারগুলোর বিষয়ে জাতিগতভাবে এখন চেষ্টা করব।