ধর্ষণ-হত্যায় ভারতজুড়ে তোলপাড়, মমতার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্র কলকাতা
- আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
কলকতার রাজপথে বাঁধ ভাঙ্গা মিছিল। জেগে ওঠাকে আটকানো মুশকিল হয়ে ওঠে পুলিশের পক্ষে। মমতার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার মমতার কার্যালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচী ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কতকাতা।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গোটা ভারত উত্তাল। আরজি করের পর থেমে থাকেনি হত্যা-খুনের ঘটনা। ভারতের বিভিন্ন স্থানে নার্সকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যাত্রীবাসে নাবালিকা ওপর চলে দলবদ্ধ নির্যাতন।
এরপর থেকেই বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন।
ভারতের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও করেছে হাজারো মানুষ।
আর তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাসের সেল ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে দাঙ্গা পুলিশ। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় অভিমুখে নবান্ন অভিযান শুরু করেছে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দিবিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ডাকে শত শত মানুষ সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার লক্ষ্যে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, প্রতিবাদ মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি দেয়া হয়নি ছাত্র-জনতাকে। এ ছাড়াও শাসক তৃণমূল কংগ্রেস গতকাল সমাবেশে সহিংসতা তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে।
এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের যেকোনও পথ থেকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে।
এরপর থেকেই বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন।