নওগাঁয় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

- আপডেট সময় : ২৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁ সদর-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদ হাসান তুহিন আবেগঘন ভাষণে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “তুমি ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো বীরের বেশে। তোমার অপেক্ষায় পুরো বাংলাদেশ অধীর আগ্রহে রয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উত্তরসূরি তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আমরা মানবতার বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
তুহিন তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, আজকের বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করতে হলে তারেক রহমানকেই সামনে আসতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “আজ যদি তারেক রহমান ব্যর্থ হন, তবে ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি ইনশাআল্লাহ তিনি ব্যর্থ হবেন না। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে চাই।”
তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে বলেন, এক দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, খাল খননের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা – এসব জাতি কখনও ভুলতে পারবে না। জাতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবারও একজন জিয়ার নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আজ আবারো আশায় বুক বেঁধেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন ও মানবতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।”
এসময় মাসুদ হাসান তুহিন নিজস্ব রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিনি ব্যক্তিগত সামর্থ্য অনুযায়ী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নওগাঁর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। করোনা মহামারির সময় খাদ্য সহায়তা, শীতবস্ত্র বিতরণ, স্বাস্থ্য সহায়তা, কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, শিশুদের পড়াশোনার সহায়তা থেকে শুরু করে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমি নওগাঁ সদর-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। এজন্য আমি নওগাঁবাসীর দোয়া, সহযোগিতা ও পূর্ণ সমর্থন কামনা করছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি—আমার জীবনের বাকি সময়গুলো সৎভাবে, নিষ্ঠার সাথে নওগাঁর মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবো। নওগাঁকে শান্তি, সাম্য ও সহাবস্থানের শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে, তবে রাজনৈতিক সহিংসতা আমরা মেনে নেব না।”
তুহিন প্রতিশ্রুতি দেন, নওগাঁয় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জুলুম-অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও নেশার দৌরাত্ম বন্ধ করা হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে একটি সুন্দর, আধুনিক ও স্বপ্নের নওগাঁ গড়াই হবে তার অঙ্গীকার।
বক্তব্যের শেষদিকে তিনি আবেগভরে বলেন, “তারেক রহমান আমাদের জাতির পথপ্রদর্শক। আমরা বিশ্বাস করি, ইনশাআল্লাহ, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। প্রিয় নওগাঁবাসী, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন—আমরা সকলে মিলে নওগাঁকে একটি শান্তির নওগাঁ হিসেবে গড়ে তুলব।”