ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে মুক্তাগাছায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo স্ত্রীর ধোঁকায় যুবকের আত্মহনন Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন Logo মাছরাঙা টেলিভিশনের বান্দরবানে ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন Logo ভাণ্ডারিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ Logo নগরকান্দা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি Logo দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ২ জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo শিবগঞ্জে নদীগর্ভে প্রায় ৮০টি বাড়ি, ঝুকিতে শতাধিক পরিবার

নিউইয়র্কে সাবের চৌধুরী-মটোমে তাকিসাওয়ার বৈঠক

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের সবুজ ও টেকসই উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

আজ নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাবের চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম (এপি-প্ল্যাট) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।

উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশন (ইউএনসিসিডি) এর সাথে সাথে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাথে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।

পরে, মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সাথে একটি বৈঠক করেন এবং বড ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবেলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এই বিষয়ে জাতীয় আইনগুলি উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিউইয়র্কে সাবের চৌধুরী-মটোমে তাকিসাওয়ার বৈঠক

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশের সবুজ ও টেকসই উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

আজ নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাবের চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম (এপি-প্ল্যাট) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।

উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশন (ইউএনসিসিডি) এর সাথে সাথে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাথে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।

পরে, মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সাথে একটি বৈঠক করেন এবং বড ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবেলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এই বিষয়ে জাতীয় আইনগুলি উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।