গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার দরবারে হামলা
নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল হত্যায় ৪ হাজার আসামীর বিরুদ্ধে মামলা- গ্রেফতার ২

- আপডেট সময় : ৫৫ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার একসময় ইমাম মাহাদী দাবিকারী নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা, গাড়ী ভাংচুর, দরবারে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
সোমবার রাতে নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আমজাদ মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০-৪০০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ থানায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি, জখম এর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরীফ আল রাজীব।
তিনি বলেন, গত শক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাসেল হত্যার ঘটনায় রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে লতিফ ইমাম ও আসলাম শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল ইসলাম।
শুক্রবার জুম্মাবাদ গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে জনতা একত্রিত হয়। পরে নুরাল পাগলের আস্থানায় হামলা করে। এসময় পুলিশের দুটি গাড়ী, ইউএনওর গাড়ী ভাংচুর করে। আগুন ধরিয়ে দেয় মাজারে। এসময় নুরাল পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত জনতার ইট, পাথর নিক্ষেপে পুলিশ সহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিতরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পদ্মার মোড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নুরাল পাগলের মরদেহ। এসময় নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল মোল্লাকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।
গত ২৩ আগস্ট নুরাল পাগলার মৃত্যু পর তার পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে তার নিজ বাড়ির সামনের অংশে দুইতলা সমান (প্রায় ১২ ফুট উঁচু) একটি কাঠামোর ভেতরে কবরস্থ করা হয়। পরে কবরটিকে কাবা শরীফের আদলে রং করা হয় এবং “হযরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ” লেখা ব্যানার টাঙানো হয়৷ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করে