নেসকোর নিয়োগে তিন দফা দাবি নিয়ে রাজপথে রুয়েট শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ৬৯ বার পড়া হয়েছে
filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; captureOrientation: 0; algolist: 0; multi-frame: 1; brp_mask:8; brp_del_th:0.0000,0.0000; brp_del_sen:0.1300,0.0000; motionR: 0; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 7864320;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 368.29306;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: 0;weatherinfo: null;temperature: 31;
নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)-তে প্রকৌশলী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিন দফা দাবিতে রাজপথে নেমেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১১টায় রাজশাহীস্থ নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে তারা। এতে অংশগ্রহণকারী কয়েকশত শিক্ষার্থী স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা। এতে ঐ এলাকার চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
দাবির মূল বিষয়বস্তু, সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নেসকোতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ অবশ্যই স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ কোনো প্রমোশনাল কোটা রাখা যাবে না। বর্তমানে নেসকোতে কিছু পদে ডিপ্লোমাদের কোটা রাখা হয়েছে, যার ফলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররাও প্রতিযোগিতা ছাড়াই এই পদে আসতে পারছেন। এই কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। বর্তমানে নেসকোতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে ৩৩ শতাংশের বেশি কর্মকর্তারা প্রমোশনাল কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন, যাদের অনেকেই দক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নন। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ প্রভাব ও প্রমোশনের নামে প্রকৃত মেধাবীদের ঠকানো হচ্ছে। আমাদের দাবি একটাই—চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন চাই। প্রমোশনাল কোটা রাখলে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয় এবং নিয়োগের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আরেকজন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রি অর্জন করছেন। অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোটা ও অস্পষ্ট নিয়মে তাদের নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার একটি উচ্চপর্যায়ের টেকনিক্যাল পদ। সেখানে শুধুমাত্র পূর্ণাঙ্গ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, নিয়োগের নামে দীর্ঘসূত্রতা, অনিয়ম ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হাজারো শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে পড়ছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এলেও দেখা যায়, অধিকাংশ পদ অভ্যন্তরীণ প্রমোশনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়, যা প্রকৃত অর্থে এক ধরনের গোপন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ।
এসময় রুয়েট শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে তারা দেশব্যাপী ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে আরও বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেবেন। একজন আন্দোলনকারী বলেন,
আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই, কিন্তু দুর্নীতিমুক্ত একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সরকার এবং নেসকো কর্তৃপক্ষকে আমাদের এই বার্তা অবশ্যই শুনতে হবে।















