নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর বাড়ির গেইট খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ ১১৫ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর কবিরহাটে চাঁদা না পেয়ে এস্কেভেটর দিয়ে প্রবাসীর বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে দেওয়া ও বাড়ির গেটটি খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে নোয়াখালীর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলে আদালতে সিআর মামলা ৭৫২/২০২৪ দায়ের করেন আবদুর মামুন নামের এক ফরাসি নাগরিকের মা আনোয়ারা বেগম শেফালী।
মামলা সূত্রের জানা যায় ফরাসি নাগরিক মামুনরা তিন ভাই দেশের বাইরে থাকায় তার মা পুত্রবধূদেরকে নিয়ে নিজ বাড়ি কবিরহাট পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের এনায়েত নগরের আতর আলী ডাক্তার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
গত ৬ আগস্ট বিকেলে কবিরহাট পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহসানুল্লাহ মোহন তাদের বাড়িতে এসে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে তার দুইদিন পর ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে মোহন ও তার ভাই ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমদ রিজনের নেতৃত্বে ১ দল সন্ত্রাসী এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) নিয়ে ফরাসি নাগরিক মামুনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির গেইট ও বাউন্ডারি ওয়াল গুলিয়ে দিয়ে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের এস.এস দিয়ে তৈরি গেটটি খুলে নিয়ে যায়।
এবং সেই সাথে হুমকি দিয়ে যায় পরবর্তীতে এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিনাম খুব ভয়াবহ হবে বলে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী শাখা কে দায়িত্ব দেয়।
ফরাসি নাগরিক আবদুর মামুন বলেন উক্ত বাড়িটি আমরা ওয়ারির সূত্রে পেয়ে ১৯৯৩ থেকে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আহসানুল্লাহ মোহনরা এখন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি দখল নিয়ে নিতে চায়। বর্তমানে আমার মা ও পরিবার দেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমি আমার পরিবারের জান-মালের নিরাপত্তা চাই।
অভিযোগের বিষয়ে আংশিক স্বীকার করে কবিরহাট পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহসানুল্লাহ মোহন বলেন বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল এবং গেট ভাঙ্গার বিষয়টি টা পারিবারিক জামেলা এটা রাজনৈতিক বিষয় না আর চাঁদা চাওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অন্যের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও দখলের বিষয় জানতে নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাবের আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ ধরনের বিষয়ে আমাদের হাই-কমান্ড থেকে কঠিন ভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে। কারো নামে এমন অভিযোগ প্রমাণ হলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।