ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo দিনাজপুরে পুষ্টির সচেতনতামূলক বৃদ্ধিকরন নিয়ে কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

পটুয়াখালির আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ঘর থেকে ৩১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ২৭০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জেলেদের জন্য ভিজিএফ’র বরাদ্দকৃত ৩১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে প্রশাসন।

পটুয়াখালীর আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ি থেকে ৩১৮ বস্তা (১৫ হাজার ৯০০ কেজি) চাল জব্দ করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ অভিযান চালিয়ে এসব সরকারি চাল জব্দ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা অবশ্য আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ইউনিয়নটির ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের অস্বচ্ছল জেলেদের চাল নিতে অতিরিক্ত খরচ বাচাঁতে তিনি চালের বস্তাগুলো বাড়ি এনেছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (২৯ জুন) রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ির থেকে ৩১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন।

এসময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, দুমকি থানার অফিসার ইনচার্য তারেক মো. হান্নান ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজাকে পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসে বলেন, পূর্বাঞ্চলের ৭, ৮ ও ৯নং ইউনিটের সুবিধাভোগী জেলেদের খরচ বাচাঁনোর জন্যই ৩১৮ বস্তা চাল বাড়িতে এনেছেন এবং তা রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে বিতরণের কথা ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে না জানিয়ে বাড়িতে আনা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট গুদামের বাইরে সরকারি বরাদ্দের চাল রাখা বিধিসম্মত নয়। পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং প্রশাসনকে না জানিয়ে কোনও বাড়িতে সংরক্ষনের সুযোগ নেই।

চাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পটুয়াখালির আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ঘর থেকে ৩১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

আপডেট সময় : ০২:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

জেলেদের জন্য ভিজিএফ’র বরাদ্দকৃত ৩১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে প্রশাসন।

পটুয়াখালীর আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ি থেকে ৩১৮ বস্তা (১৫ হাজার ৯০০ কেজি) চাল জব্দ করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ অভিযান চালিয়ে এসব সরকারি চাল জব্দ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা অবশ্য আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ইউনিয়নটির ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের অস্বচ্ছল জেলেদের চাল নিতে অতিরিক্ত খরচ বাচাঁতে তিনি চালের বস্তাগুলো বাড়ি এনেছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (২৯ জুন) রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ির থেকে ৩১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন।

এসময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, দুমকি থানার অফিসার ইনচার্য তারেক মো. হান্নান ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজাকে পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসে বলেন, পূর্বাঞ্চলের ৭, ৮ ও ৯নং ইউনিটের সুবিধাভোগী জেলেদের খরচ বাচাঁনোর জন্যই ৩১৮ বস্তা চাল বাড়িতে এনেছেন এবং তা রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে বিতরণের কথা ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে না জানিয়ে বাড়িতে আনা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট গুদামের বাইরে সরকারি বরাদ্দের চাল রাখা বিধিসম্মত নয়। পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং প্রশাসনকে না জানিয়ে কোনও বাড়িতে সংরক্ষনের সুযোগ নেই।

চাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।