ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পদত্যাগপত্রে যা লিখেন পুলিশের এক ডিআইজি

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হাসিনা সরকারের জোড়জবরদস্তি কাজ করানোর বিষয়ে একের পর নজির বেড়িয়ে আসছে। অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন। মো. মনিরুজ্জামান নামের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) স্বেচ্ছায় চাকরী থেকে অবসরে যাবার আবেদন করেছেন।

অবসর যাবার আবেদনে তিনি লিখেছেন, বাংলার মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসেবে আমি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে ইচ্ছুক নই। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের খুলনা-বরিশাল বিভাগে কর্মরত। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।

এর আগের কয়েক দিন ও বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন করতে হয়েছে। এই আদেশ পালন করতে গিয়ে অবৈধ সরকারকে রক্ষার নামে, নিজেদের ক্ষমতা ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের পথকে দীর্ঘায়িত করার মানসে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিংস্র ও বর্বর আদেশে শিশু-কিশোরসহ বহু মানুষকে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বর্তমানে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা লিখেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করা আমার জন্য সমীচীন নয়। এ কারণে ১১ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম। গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চাকরি থেকে অবসরের আবেদন করেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের রিসিভ অ্যান্ড ডেসপাচ শাখা আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেছে।

এর আগে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য মাকসুদ কামল, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শহিদুল্লা, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আপিল বিভাগের ৫জন বিচারপতিসহ আরও অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পদত্যাগপত্রে যা লিখেন পুলিশের এক ডিআইজি

আপডেট সময় : ০৪:৪১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

 

হাসিনা সরকারের জোড়জবরদস্তি কাজ করানোর বিষয়ে একের পর নজির বেড়িয়ে আসছে। অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন। মো. মনিরুজ্জামান নামের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) স্বেচ্ছায় চাকরী থেকে অবসরে যাবার আবেদন করেছেন।

অবসর যাবার আবেদনে তিনি লিখেছেন, বাংলার মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসেবে আমি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে ইচ্ছুক নই। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের খুলনা-বরিশাল বিভাগে কর্মরত। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।

এর আগের কয়েক দিন ও বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন করতে হয়েছে। এই আদেশ পালন করতে গিয়ে অবৈধ সরকারকে রক্ষার নামে, নিজেদের ক্ষমতা ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের পথকে দীর্ঘায়িত করার মানসে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিংস্র ও বর্বর আদেশে শিশু-কিশোরসহ বহু মানুষকে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বর্তমানে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা লিখেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করা আমার জন্য সমীচীন নয়। এ কারণে ১১ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম। গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চাকরি থেকে অবসরের আবেদন করেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের রিসিভ অ্যান্ড ডেসপাচ শাখা আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেছে।

এর আগে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য মাকসুদ কামল, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শহিদুল্লা, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আপিল বিভাগের ৫জন বিচারপতিসহ আরও অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।