ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দিনাজপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর উদ্যোগে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’র মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ Logo একটি দল নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে : মামুনুল হক Logo নাটোরে ৭ দিনব্যাপী ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারী গ্রেফতার Logo মাদকের বিনিময়ে বাংলাদেশী পণ্য সামগ্রী পাচারকালে ৯ চোরাকারবারী আটক Logo ‘রাষ্ট্র অন্যায়ভাবে আদিবাসীদেরকে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ বলে” Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ আটক ১ Logo বিদ্যুৎ বিল বকেয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা Logo শেরপুরে আন্ডারপাস ব্রীজের নিচ থেকে অবৈধ ব্যবসা উচ্ছেদ Logo কুয়াকাটায় যুবদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত রেল সেতুর নাম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

যমুনা নদীতে নির্মিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হচ্ছে। নির্মাণকালে সেতুর নামকরণ করা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। এরই মধ্যে নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সেতুটি কি নামে পরিচিত হবে তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় এলাকার নামেই নামকরণে আগ্রহী। নবনির্মিত রেলওয়ে সেতুটির ক্ষেত্রেও তাই হতে পারে। আগামী বছরের শুরুর দিকে সেতুটি উদ্বোধনের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২০ সালে বর্তমান যমুনা সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে যমুনা নদীতে রেলসেতু নির্মাণ শুরু হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। জাপানের অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহত সেতুটি নির্মাণ হয়েছে।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিদর্শন শেষে যমুনার পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জের সয়বাদাদে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বলেছেন,

সচিব আরও বলেন, যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে কম গতিতে ট্রেন চলতো। যে কারণে সময় বেশি লাগতো। নতুন সেতু চালু হলে প্রতিটি ট্রেন দ্রুত গতিতে চলতে পারবে। আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে এ সেতুর উদ্বোধন হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

ইতোমধ্যে সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে কোনো অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরে সেতুর পূর্বপাড় এলাকা পরিদর্শনে যান রেলপথ সচিব।
পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে।

২০২০ সালের যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নাম দিয়ে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের এই সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ৭২ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করে।

বর্তমানে যমুনা সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন রেল সেতু চালু হলে ডাবল লাইনে দ্রুতগতিতে পণ্যবাহীসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত রেল সেতুর নাম

আপডেট সময় :

 

যমুনা নদীতে নির্মিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হচ্ছে। নির্মাণকালে সেতুর নামকরণ করা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। এরই মধ্যে নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সেতুটি কি নামে পরিচিত হবে তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় এলাকার নামেই নামকরণে আগ্রহী। নবনির্মিত রেলওয়ে সেতুটির ক্ষেত্রেও তাই হতে পারে। আগামী বছরের শুরুর দিকে সেতুটি উদ্বোধনের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২০ সালে বর্তমান যমুনা সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে যমুনা নদীতে রেলসেতু নির্মাণ শুরু হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। জাপানের অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহত সেতুটি নির্মাণ হয়েছে।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিদর্শন শেষে যমুনার পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জের সয়বাদাদে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বলেছেন,

সচিব আরও বলেন, যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে কম গতিতে ট্রেন চলতো। যে কারণে সময় বেশি লাগতো। নতুন সেতু চালু হলে প্রতিটি ট্রেন দ্রুত গতিতে চলতে পারবে। আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে এ সেতুর উদ্বোধন হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

ইতোমধ্যে সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে কোনো অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরে সেতুর পূর্বপাড় এলাকা পরিদর্শনে যান রেলপথ সচিব।
পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে।

২০২০ সালের যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নাম দিয়ে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের এই সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ৭২ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করে।

বর্তমানে যমুনা সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন রেল সেতু চালু হলে ডাবল লাইনে দ্রুতগতিতে পণ্যবাহীসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে।