ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটকদের জন্য বান্দরবানে ভ্রমণ উন্মুক্ত হচ্ছে 

বাসুদেব বিশ্বাস,বান্দরবান
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটকদের জন্য বান্দরবান ভ্রমণ উন্মুক্ত হচ্ছে বলে জানালেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে এই জেলার প্রচুর জনগণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জড়িত, কিন্তু পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করায় বান্দরবানের পর্যটন শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে আর তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণে আর কোনো বাধা থাকবে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয় পর্যটন শিল্পে জড়িতদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তাদের উল্লেখযোগ্য পয়েন্টগুলো আলোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো এবং খুব দ্রুত সময়ে বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় পর্যটকরা অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবে।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম পর্যায়ে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে আর এরপরে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে।

এসময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মনজুরুল হক, র‌্যাব-১৫ এর বান্দরবানের কোম্পানি ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের মেজর মো. শায়েখউজ জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, বান্দরবান রেসিডেন্সিয়াল হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: গত ৬ অক্টোবর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার নিদের্শনা দেয় জেলা প্রশাসক আর এই নিদের্শনার পরপরই বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণ কমে যায় আর এতে জেলার ৭ উপজেলার হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়ে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পর্যটকদের জন্য বান্দরবানে ভ্রমণ উন্মুক্ত হচ্ছে 

আপডেট সময় : ০৫:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

 

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটকদের জন্য বান্দরবান ভ্রমণ উন্মুক্ত হচ্ছে বলে জানালেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে এই জেলার প্রচুর জনগণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জড়িত, কিন্তু পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করায় বান্দরবানের পর্যটন শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে আর তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণে আর কোনো বাধা থাকবে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয় পর্যটন শিল্পে জড়িতদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তাদের উল্লেখযোগ্য পয়েন্টগুলো আলোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো এবং খুব দ্রুত সময়ে বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় পর্যটকরা অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবে।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম পর্যায়ে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে আর এরপরে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে।

এসময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মনজুরুল হক, র‌্যাব-১৫ এর বান্দরবানের কোম্পানি ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের মেজর মো. শায়েখউজ জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, বান্দরবান রেসিডেন্সিয়াল হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: গত ৬ অক্টোবর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার নিদের্শনা দেয় জেলা প্রশাসক আর এই নিদের্শনার পরপরই বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণ কমে যায় আর এতে জেলার ৭ উপজেলার হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়ে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষ।