ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

পাখির কলকাকলীতে মুখর দাগনভূঞার হাজেরা-খাঁ দিঘী

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা (ফেনী)
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অগণিত অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামের হাজেরা-খাঁ দীঘি; যা স্থানীয়ভাবে আজরাঈল দীঘি বলেই পরিচিত। প্রতিদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর। পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকাল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা। দীঘির পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির গুঞ্জনে। দীঘিতে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলো নির্বিঘ্নে ছোটাছুটি করলেও কেউ এগুলো ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদ্দেশ্যে জলাশয়ের কাছেও আসে না।

পাখি দেখতে আসা মোজাম্মেল হক হাছান বলেন, লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম।এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা ভালো লাগছে। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এ দীঘিতে প্রতিবছরের মতো এ বছরও শত শত পাখি এখানে এসেছে। আগত এসব অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পাখি দেখতে আসেন। তিনি আরও বলেন, এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাজেরা-খাঁ দীঘিতে একবার ঘুরে আসলে পাখিদের কলকাকলিতে মুগ্ধ হবেন সকলেই।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) দাগনভূঞা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কাজী ইফতেখারুল আলম বলেন, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে এবং এসব পাখির নিরাপত্তা দেয়া গেলে এরা হয়তো নিয়মিত আসবে। একই সঙ্গে পাখির বিচরণের জন্য বিল-জলাশয় ভরাট থেকেও আমাদের বিরত থাকতে হবে। দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স. ম. আজহারুল ইসলাম বলেন, কারও বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাখির কলকাকলীতে মুখর দাগনভূঞার হাজেরা-খাঁ দিঘী

আপডেট সময় : ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

অগণিত অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামের হাজেরা-খাঁ দীঘি; যা স্থানীয়ভাবে আজরাঈল দীঘি বলেই পরিচিত। প্রতিদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর। পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকাল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা। দীঘির পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির গুঞ্জনে। দীঘিতে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলো নির্বিঘ্নে ছোটাছুটি করলেও কেউ এগুলো ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদ্দেশ্যে জলাশয়ের কাছেও আসে না।

পাখি দেখতে আসা মোজাম্মেল হক হাছান বলেন, লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম।এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা ভালো লাগছে। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এ দীঘিতে প্রতিবছরের মতো এ বছরও শত শত পাখি এখানে এসেছে। আগত এসব অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পাখি দেখতে আসেন। তিনি আরও বলেন, এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাজেরা-খাঁ দীঘিতে একবার ঘুরে আসলে পাখিদের কলকাকলিতে মুগ্ধ হবেন সকলেই।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) দাগনভূঞা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কাজী ইফতেখারুল আলম বলেন, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে এবং এসব পাখির নিরাপত্তা দেয়া গেলে এরা হয়তো নিয়মিত আসবে। একই সঙ্গে পাখির বিচরণের জন্য বিল-জলাশয় ভরাট থেকেও আমাদের বিরত থাকতে হবে। দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স. ম. আজহারুল ইসলাম বলেন, কারও বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।