ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

পাহাড়ে আবারও অশান্তির আগুন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ৭২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীঘিনালায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৪

খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইউপিডিএফ এক বিবৃতিতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি এবং তাদের কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ায় ঘটনাটি জানা যায় গতকাল শনিবার সকালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সামরিক শাখা গণমুক্তি ফৌজ বা পিপলস লিবারেশন আর্মির কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জনের একটি সশস্ত্র দল এবং জেএসএসের সশস্ত্র কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জনের আরেকটি দলের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে ইউপিডিএফের চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনও নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় গোলাগুলিতে চার জন নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় সেখানে পুলিশের পক্ষে এককভাবে যাওয়া সম্ভব নয়। সেনাবাহিনী এবং বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তাদের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারলে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের সঙ্গে শুক্রবার গোলাগুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউপিডিএফ। গতকাল শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রচারিত ওই গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কোনও তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই এবং ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে “গণমুক্তি ফৌজ” বা “পিপলস্ লিবারেশন আর্মি” নামে তার কোনও সামরিক শাখা থাকার প্রশ্ন একেবারে অবান্তর ও কাল্পনিক। ইউপিডিএফ কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এবং তার কোনও সদস্য কোনও যুদ্ধে নিহত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউপিডিএফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং ভাইবোনছড়া এলাকায় ত্রিপুরা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এভাবে দুরভিসন্ধিমূলক মিথ্যা প্রচারে নেমেছে। অংগ্য মারমা এসব গুজব ও অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাহাড়ে আবারও অশান্তির আগুন

আপডেট সময় :

দীঘিনালায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৪

খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইউপিডিএফ এক বিবৃতিতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি এবং তাদের কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ায় ঘটনাটি জানা যায় গতকাল শনিবার সকালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সামরিক শাখা গণমুক্তি ফৌজ বা পিপলস লিবারেশন আর্মির কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জনের একটি সশস্ত্র দল এবং জেএসএসের সশস্ত্র কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জনের আরেকটি দলের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে ইউপিডিএফের চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনও নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় গোলাগুলিতে চার জন নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় সেখানে পুলিশের পক্ষে এককভাবে যাওয়া সম্ভব নয়। সেনাবাহিনী এবং বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তাদের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারলে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের সঙ্গে শুক্রবার গোলাগুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউপিডিএফ। গতকাল শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রচারিত ওই গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কোনও তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই এবং ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে “গণমুক্তি ফৌজ” বা “পিপলস্ লিবারেশন আর্মি” নামে তার কোনও সামরিক শাখা থাকার প্রশ্ন একেবারে অবান্তর ও কাল্পনিক। ইউপিডিএফ কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এবং তার কোনও সদস্য কোনও যুদ্ধে নিহত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউপিডিএফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং ভাইবোনছড়া এলাকায় ত্রিপুরা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এভাবে দুরভিসন্ধিমূলক মিথ্যা প্রচারে নেমেছে। অংগ্য মারমা এসব গুজব ও অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।