ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আমার বাড়ি আমার ঘরের এমডির বিরুদ্ধে ভূমিদখল-প্রতারণা-অভিযোগ Logo সোনাইমুড়ীতে টিআর প্রকল্পের সড়ক সংস্কারে অনিয়ম Logo সাতানী ইউনিয়ন বিএনপি’র সদ্য ঘোষিত সুপার ফাইভ কমিটির পরিচিতি ও সংবর্ধনা Logo জীবন জীবনের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রথম বর্ষপূর্তি Logo টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা ৪৬ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস  Logo যশোরে জমে উঠেছে নার্সদের নির্বাচন, ৬ পদে ১১ প্রার্থ Logo মানিকগঞ্জ সদরে উপকার ভোগীদের মাঝে ১৫০ কেজি করে  ভিজিডি চাউল বিতরণের  উদ্বোধন করেন  নূরে আলম সরকার Logo নালিতাবাড়ীতে হাফিজ ভাইয়ের গোস্তের দোকানে জরিমানা ও মাংস জব্দ Logo সরবরাহ স্বাভাবিক, তবুও অস্থির কাঁচাবাজার Logo মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড

ধস ঠেকাতে ব্যয় ৩৫০ কোটি টাকা

পাহাড়ের বৈচিত্র্য ধরে রেখে সড়কে নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাহাড়ের বৈচিত্র্যতাকে অক্ষুন্ন রেখে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে পার্বত্য রাঙামাটিতে প্রায় সাড়ে ৩৫০ কোটির উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বর্তমানে আরও এক’শ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়নের পথে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ জেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি সড়কের মধ্যে রাঙামাটির অভ্যন্তরে, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক, রাঙামাটি-বান্দরবান সড়ক, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়ক ও বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু সড়কে প্রায় ১৬৭টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব সড়ককে টেকসই করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সড়ক রক্ষায় রিটার্নিং ওয়াল, ষ্ট্রিল ব্রীজ ভেঙ্গে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়িত হয়ে গেছে এবং চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই বাকি কাজগুলো সম্পূর্ন বাস্তবায়ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে রাঙামাটিতে পাঁচ সেনাসদস্যসহ ১২০জনের প্রাণহানি ঘচে। এর পরের বছর ২০১৮ সালের ১২ জুন রাঙামাটির নানিয়ারচরে ফের পাহাড় ধসে আরো ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাঙামাটি সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো।

রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, অত্রাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ফলে ব্যবসায়িরা লাভবান হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরের উপজেলাগুলোর সড়কগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে টেকশই করে গড়ে তুললে অত্রাঞ্চলে উৎপাদিত সকল প্রকার পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো যাবে। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান জানান, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের দুই ঘটনার বাস্তবতার প্রেক্ষিতে পাহাড়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকিকরনে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্বত বেষ্টিত রাঙামাটির সর্বমোট ১৬৭টি স্পট নির্ধারণ করে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাইলিংসহ রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ধস ঠেকাতে ব্যয় ৩৫০ কোটি টাকা

পাহাড়ের বৈচিত্র্য ধরে রেখে সড়কে নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাহাড়ের বৈচিত্র্যতাকে অক্ষুন্ন রেখে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে পার্বত্য রাঙামাটিতে প্রায় সাড়ে ৩৫০ কোটির উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বর্তমানে আরও এক’শ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়নের পথে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ জেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি সড়কের মধ্যে রাঙামাটির অভ্যন্তরে, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক, রাঙামাটি-বান্দরবান সড়ক, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়ক ও বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু সড়কে প্রায় ১৬৭টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব সড়ককে টেকসই করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সড়ক রক্ষায় রিটার্নিং ওয়াল, ষ্ট্রিল ব্রীজ ভেঙ্গে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়িত হয়ে গেছে এবং চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই বাকি কাজগুলো সম্পূর্ন বাস্তবায়ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে রাঙামাটিতে পাঁচ সেনাসদস্যসহ ১২০জনের প্রাণহানি ঘচে। এর পরের বছর ২০১৮ সালের ১২ জুন রাঙামাটির নানিয়ারচরে ফের পাহাড় ধসে আরো ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাঙামাটি সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো।

রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, অত্রাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ফলে ব্যবসায়িরা লাভবান হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরের উপজেলাগুলোর সড়কগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে টেকশই করে গড়ে তুললে অত্রাঞ্চলে উৎপাদিত সকল প্রকার পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো যাবে। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান জানান, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের দুই ঘটনার বাস্তবতার প্রেক্ষিতে পাহাড়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকিকরনে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্বত বেষ্টিত রাঙামাটির সর্বমোট ১৬৭টি স্পট নির্ধারণ করে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাইলিংসহ রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।